পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব । \OYY সমুদয়েরই তাহ পূৰ্ব্বস্বত্র। কথা আছে না, অসৎ হইতেই সতের উদয় হইয়া থাকে ? ইহা অবশ্য বুঝিয়াছ যে, মহাশক্তি অগ্ৰগামিনী হইয়াই চলিতেছে, পশ্চাৎ হাঁটতেছে না ; সুতরাং পূর্ব অবস্থা হইতে উত্তর অবস্থায় যে গমন, সেই গমনকে অগ্রস্থিত বা উচ্চ অবস্থায় গতি এবং উন্নতিশালী বলিয়া বলা যায়। পুনঃ, এক অবস্থা হইতে অবস্থান্তরের মধ্যে যে অন্তরতা, তাহার অতিক্রম-ক্রিয়াই গুণবিকারভাব বা অসৎ ; অতএব অসতের পরিণাম যাহা, দেখা যাইতেছে যে প্রকৃত পক্ষে তাহাই উচ্চে গতি বা সৎ ; এবং ষে অবস্থায় যখন যাহাঁকে আমরা হ্রাস বলিয়া গণনা করিতেছি, সে অবস্থার তখন তাহা কাৰ্য্যতঃ তজ্জাতীয় উচ্চপথে গতিক্রিরামাত্র। দেখ তবে এখন, অসৎও বড় কম আদরের বস্তু নহে ; অসৎ অভাবে উন্নতির সংসার पञछल श्झेब्र बांध्र । এখানে যখন সদসতের কথা উঠিয়াছে, তখন আর একটি কথা বলা কৰ্ত্তব্য। আধিভৌতিক জগতের সদসৎ দেখিয়া ভাবিও না যে, আধ্যাত্মিক জগতের বা আত্মিক সদসৎও তদ্রুপ। ভূত পদার্থ দেশকালাদির অধীন, আত্মপদার্থ তাহার অতীত। অথবা ভূত পদার্থের মূলউৎপাদক ও পরিচালক যে প্রাকৃতিক শক্তি, জীবের স্বেচ্ছাশক্তি তাহার সঙ্গে সমশ্রেণীর ; সুতরাং স্বেচ্ছাশক্তি ভূত পদার্থের অনেক উপরে এবং অনেক উপরে বলিয়াই, জীবসকল জড়জগতের উপর আধিপত্য করিতে সমর্থ হয়। এখন দেখ, শক্তির সদসৎ ভাব কি হইতে পারে ? শক্তির যখন একমাত্র পরিচয় ও কাৰ্য্য গতিশীলত:, তখন তাহারাই ব্যতিক্রম বা তদন্ততরে অসং বা সতের সম্ভাবনা হয়। এতএব, শক্তির যথাপথে গমনে সৎ এবং তদন্ততর বা অযথা পথে গমন অসৎ বলা যায়। শক্তির গতিশীলতার ফল কাৰ্য্য।