পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব । ○>@を সমস্ত ধারাই সমুদ্রে গিয়া পতিত হয় । তাই তবে এখন দেখিয়া বল দেখি যে বর্ণিত অশুভের অস্তিত্ব না থাকিলে, উন্নতির অভাবে সমস্ত জগৎ অন্ধকারময় ও সৌন্দৰ্য্যশূন্ত হইয়া যাইত কি না ? কিন্তু নিয়ন্ত যিনি তিনি মঙ্গলময়, তাহা হইতে তাহীও কি কখনও সম্ভব হয় ?—মঙ্গলময় মহা-উৎস হইতে যাহার উৎপত্তি, সে মহাশক্তি ষেরূপেই গতিশীলা হউক না কেন, তাহ কি কখন অমঙ্গলময়ী হইতে পারে, না তাহা হইতে অমঙ্গলময় অবনতি বা অশুভ ফল. ফলিতে পারে ? মঙ্গলময় মনীষা হইতে অমঙ্গলময় কামনার সম্ভাবনা কোথায় ? তুমি ইচ্ছা করিলে, আত্মবুদ্ধি গুণে অপনাপনি কখন কখন মানুষ ঘুচিয়া বানর সাজিতে পার, কিন্তু নিয়ন্তার নিয়মপথ অবলম্বন করিলে কখনই সেরূপ পরিবে না । সে নিয়ম ধরিয়া চলিলে, তোমার উচ্চ হইতে উচ্চতর মনুষ্যত্ব বা উন্নতি পথে যাওয়া ভিন্ন অন্য উপায় নাই। রূপ এবং বিকার, এতদুভয়ের মধ্যে ‘রূপ’—কি নিকট, কি দূর— উভয় সম্বন্ধে অনাগত অনন্ত কাৰ্য্যসমষ্টির জনক, স্বতরাং ইহার সত্তা অনন্ত ; বিকার’ তাহা নহে ; যেরূপ রূপ প্রবৰ্ত্তিত করিতে উহ উপস্থিত, তাহা করিয়াই ক্ষান্ত হয়, সুতরাং ইহার সত্তা অন্ত। মানবীয় অন্বয়ে ইহার একটা দৃষ্টান্ত দেখ,—রূপ নিত্যই, উত্তর-কাৰ্য্যরাশির কল্পনা-মূৰ্ত্তি অর্থাৎ মানসশরীর নির্মাণার্থে, নিজ রূপোখ ভাবময় উপকরণ সকল যোগাইয়া যাইতেছে ; কিন্তু বিকার তাহা যোগায় ন, অথবা উদ্ধ সংখ্যায় মানসশরীর নিৰ্ম্মাণে, ক্রটবোধের কারণস্বরূপ হইয়া, সাবধান মাত্র করিয়া দেয়। যাহা হউক, নিরন্তর সেই অনন্ত ও অন্ত, রূপ ও বিকার, অথবা উৎপত্তি ও ধ্বংস সংঘটনে এই পরিদৃগুমান ব্রহ্মাওক্রিয় ; তদুভয়ের যুগপৎ সমাবেশ হেতু