পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

^\O) ఆ গ্রীক ও হিন্দু । , অথবা যুগপৎ জন্মমৃত্যু অভিনযের দ্বারাই, এই পরিদৃশ্যমান স্থষ্টি উত্তরগামিনী ও উন্নতিশালিনী হইয়া প্রবাহরূপে পর পর প্রকাশমান হইয়া অসিতেছে। বৈদন্তিক মায়াবাদও, প্রবাহরূপে এই স্থষ্টির ( সুতরাং স্বাক্টস্থ বিষয় সকলের ) অনস্তত্ব স্বীকার করিয়া থাকে ; পুন: উক্ত বৈদাস্তিক শিক্ষা অনুসারেই, সংস্কারাধীনে এই অনস্তত্বজ্ঞান একেবারে অপরিহার্য্য। ফলতঃ এই প্রত্যক্ষ অনন্তমূৰ্ত্তি এবং তাহার অনন্ত ক্রিয়াপ্রবাহ ও ক্রিয়া-পরিণাম সন্মুখে দেখিয়াও, যে তাহাকে অনিত্য জ্ঞানে উদ্যমশূন্ত হয়, তাহাকে বিষম ভ্রান্ত ও আত্মঘাতী ভিন্ন আর কি বলা যাইতে পারে ? তবেই দেখ, তুমি অন্তস্বরূপ বিকারের দ্বারা অনন্তস্বরূপ রূপকে আকৃষ্ট হইতে দেথিয়া এবং বিকারের ক্রিয়াতেজে বিমূঢ় হইয়া, রূপ ও রূপময়ী সমস্ত জগৎকে অনিত্য জ্ঞানে তাহাকে উন্মাদৰং উপেক্ষাপূর্বক কেবল আত্মনাশ ও সকলনাশ করিতে অগ্রসর হইয়াছ । ধবংসক্ষয়াদির অধীন হইলেও, যাহা ভূত বিষয়ের উপর পদ স্থাপন করিয়া উদ্ভূত এবং যাহা ভবিষ্যতের উৎপাদক ও উত্তেজক স্থলীয় হয়—সুতরাং যাহা উভয়মুখেই অক্ষুন্ন সম্বন্ধ সৰ্ব্বদা অটুটভাবে রক্ষা করিয়া থাকে,— তাহাঁকে কখনও অনিত্য বলা যাইতে পারে না । যেমন বলিলাম, এইরূপেই ভূত ও ভবিষ্যৎ উভয় সহ অক্ষুণ্ণ সম্বন্ধ রক্ষায় রূপোৎসারণে রূপান্তরের উৎপত্তি হয় । পুনশ্চ, এই সংসারে অনন্ত ও অন্ত এতদুভয়ের প্রভাবোৎপন্ন দুইটি গুণ নিরস্তর কাৰ্য্য করিয়া যাইতেছে এবং সেই কাৰ্য্যফলে এই জগৎ ! প্রথমট পুরুষগুণ, দ্বিতীয়টি স্ত্রীগুণ ; পুরুষগুণ সত্তা, স্ত্রী গুণ তদন্ততর ও বিকার । সন্তা রূপ, বিকার ধবংস বা লোপ | ধ্বংস এবং লোপ, অন্বয়শূন্ত হইলেই, রূপে প্রকৃত অনিত্যতা আনিয়া উপস্থিত করিতে