পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব । ৩১ ৭৯ পারিত ; কিন্তু তাহারা অন্বয়শুন্ত নহে; একের ধ্বংস অপরের পরিণতি এবং লোপ,—এক অপরের ভিত্তিরূপে পরিণত হওন ! অতএব রূপ এবং রূপপ্রবাহ, সুতরাং জগৎস্থ পদার্থ সকল, অনিত্য জ্ঞানে উপেক্ষা করিবার বিষয় নহে। তাই আবার বলি, জগৎ সত্য ; তোমার অবলম্বিত মায়াবাদ ও অনিত্যতাবুদ্ধি মিথ্যা । আর সেরূপ বুদ্ধির বশবৰ্ত্তী হইয়া উদ্যমশূন্ত আত্মনাশ ও সকল নষ্ট করিও না। তোমার অবলম্বিত অদৃষ্টবাদও তদ্রুপ । লোকে যেমন ধ্বংসলোপাদিক্রিয়ার প্রভাবৰ্দ্ৰষ্টে ভ্ৰমান্ধতাবশতঃ রূপের অনিত্যতা কল্পনা করিয়া এবং বৈদিক মায়াবাদের বিকৃত ধারণায় মুগ্ধ হইয়া অনিষ্ঠভাগী হইয়াছে, সেইরূপ প্রাকৃতিক ক্রিয়াশক্তির প্রভাবধৃষ্টে, দৃষ্টিভ্রমবশতঃ স্বেচ্ছাশক্তি অর্থং পুরুষকারের অভাব কল্পনা করিয়া, অদৃষ্টবাদে মুহমান হইয়া নানাবিধ অনর্থোৎপাদন করি তছে। বৈদিক অদৃষ্টবাদ যথার্থ সত্যোভাসক, সুতরাং তাহাতে পুরুষকারেরও প্রয়োজন ও প্রবলত সম পরিমাণে দৃষ্ট হয়। বৈদিকতত্ত্ব অনুসারে, পূর্ব পূৰ্ব্ব জন্মের স্বেচ্ছোৎপন্ন কামকৰ্ম্মজন্য যে কৰ্ম্মস্থত্র, তাহাই ইহজন্মে অদৃষ্টরূপে পরিণত হইয়া ইচ্ছাতীত কাৰ্য্য সকলের উৎপাদক হইতেছে ; এবং ইহজন্মের স্বেচ্ছোৎপন্ন কামকৰ্ম্ম যে সকল, তাহ পুনঃ ভবিষ্যৎ জন্মের জন্য অদৃষ্ঠাকারে পরিণত হইবে। অতএব শ্রীতির মতে, মুলস্থানে মানুষের স্বেচ্ছাশক্তিই প্রবলা এবং সেই স্বেচ্ছাশক্তি, জন্ম-জন্মান্তরভেদ, কখনও অদৃষ্ট কখন বা সাক্ষাৎ স্বেচ্ছাশক্তির আকারে কৰ্ম্মরাশির উৎপাদন করিয়া থাকে। জন্মান্তর স্বীকার করিলে এ অদৃষ্টবাদ, জ্ঞাম এবং যুক্তি উভয়সম্মত এবং বুদ্ধিমানের নিকট পুরুষকারের পক্ষে যথেষ্ট উত্তেজক স্বরূপে গৃহীত হয়। কিন্তু তোমার অবলম্বিত অদৃষ্টবাদ স্বতন্ত্র পদার্থ ; তদনুসারে মানুষ,