পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব । כלכ(א বিবেচনা করিয়া দেখা যাউক। পূৰ্ব্বে অনেক স্থানে বলিয়াছি, প্রাকৃতিক শক্তি আগে, স্বেচ্ছাশক্তি তাহার পরে ; এবং স্বেচ্ছাশক্তি প্রাকৃতিক শক্তির অঙ্কশায়িনী। এই অঙ্কশায়ী ভাব দৃষ্টি এবং এতৎ হেতু তদুভয় শক্তির পৃথকত্ব উপলব্ধি করণে অসমর্থতা জন্য, অজ্ঞ মানব এই বিকৃত এবং দুৰ্দ্ধৰ্ষ অদৃষ্টবাদের কল্পনা করিয়া তুলিয়াছে। সে যাহা হউক, স্বেচ্ছাশক্তি প্রাকৃতিক শক্তির অঙ্কশায়িনী ও তদুৎপন্ন কাৰ্য্য প্রাকৃতিক শক্তির অমুকুলে হওয়া বাঞ্ছনীয় হইলেই যে, প্রাকৃতিক শক্তি সহ তাঁহা সম্পূর্ণভাবে এক বা প্রাকৃতিক শক্তিতেই তাহ লীন হইয়া অস্তিত্বশূন্ত হইবে, এমন কোন কথা নাই। স্বেচ্ছাশক্তি প্রাকৃতিক শক্তির অনুকূলে সৰ্ব্বদা কৰ্ম্ম করিবে সত্য, কিন্তু কৰ্ম্মনিৰ্ব্বাচন ও কাৰ্য্য আচরণকালে তাহার স্বাধীনতাও যথেষ্ট । লক্ষিত হয়। স্বেচ্ছাশক্তির এই যুগপৎ স্বাধীন-পরাধীন ভাবই মঙ্গলকর, তদতিরিক্তে একেবারে স্বাধীন বা একেবারে পরাধীন উভয় ভাবই অমঙ্গলের কারণ হইয়া থাকে। আমরা দেখিতেছি, মানবচিত্ত বহির্জগৎ হইতে নানাবিধ ভাৰ প্রাপ্ত হইতেছে ; বহির্জগৎই কৰ্ম্মের উপকরণরাশি যোগাইতেছে এবং যখন উপকরণরাশি যোগায়, তখন ইহাও একরূপ আভাস দিয়া দিতেছে যে, কিরূপ কিরূপ কৰ্ম্ম সেই সকল ভাব ও উপকরণযোগে সাধিত হইতে পারে। কিন্তু এখন সে সকলের মধ্য হইতে কৰ্ম্মবিশেষ নিৰ্ব্বাচন এবং তাহা সম্পাদন করিবে কে ? উপকরণ যোগান ও কৰ্ম্মাভাস দান করা পৰ্য্যন্তই অদৃষ্টহস্ত বলবান দেশিয়া আসিলাম, কিন্তু তাহার পর ? তুমি বলিবে করিবার জন্ত যে ইচ্ছা, তাহারও প্রবর্তক কথিত বহির্জগৎস্থ ভাব সকল ও ভাবোখ উত্তেজনা ; এবং কারণ যাহা, তাহা কৰ্ম্মেন্দ্রিয় দিয়া সেই ইচ্ছারই বাহবিকাশ