পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব । סאסא পরিচালনে, তাঙ্গকে অবলম্বনপূর্বক সুফলভাগী হয় ; কেহ বা অশুভ আবৰ্ত্তস্থলে স্বেচ্ছাশক্তির পরিচলন অভাবে তাঁহাতে ওতপ্ল ত হইয়া পৃষ্ঠভাসান দেয়। অতএব স্বেচ্ছাশক্তির প্রয়োগ অপ্রয়োগও এরূপ বিভিন্ন ফলভোগের অন্যতর কারণ। যাহাiজগৎ বা জাতি সম্বন্ধে বলিলাম, তাহাই সঙ্কীর্ণায়তন করিয়া লইলে, ব্যক্তিবিশেষে প্রযুক্ত হয়। পুনশ্চ দ্রষ্টব্য, প্রাকৃতিক শক্তির কার্য্য শারীরভাগকে লইয়া, অlর স্বেচ্ছাশক্তির কার্য্য আত্মিকভাগকে লইয়া । মন, শরীর ও আত্মা এ উভয়ের সংযোগস্থল। এজন্য বাহাজগং যখন স্বীয় ভাবোথ উত্তেজনায় ইন্দ্ৰিয়সকলকে উত্তেজিত করে, তখন সেই উত্তেজনা মনের দ্বারা আত্মিকভাগেও চালিত হওয়ায়, আত্মিক ক্রিয়ার শমতা সাধনপূর্বক মানুষকে নানা গণনাতীত অবস্থায় পাতিত ও কল্পনাতীত কার্য্যে লিপ্ত করিয়া দেয়। সেইরূপ আত্মিক ক্রিয়া যাহা, তাহা মনের দ্বারা শরীরের উপর পরিচালিত হইয়া, শরীরের উপর প্রাকৃতিক ক্রিয়ারও নানা প্রকারে শমত সাধন করিয়া থাকে। এখানে আত্মিকক্রিয়ার শমত সাধন অদৃষ্টশক্তির কার্য্য, আর প্রাকৃতিক ক্রিয়ার শমতা সাধন স্বেচ্ছাশক্তির কার্য্য ; কিন্তু তাহা হষ্টলেণ্ড, এ উভয় স্থলেই, প্রাকৃতিক শক্তি ও স্বেচ্ছাশক্তির কার্য্য এরূপ সম্মিলিত হইয়া যায় যে, এক হইতে অপরকে পৃথক্ করিয়া লওয়া বাস্তবিকই বড় কঠিন হইয়া উঠে। কিন্তু আবার এ উভয়তঃ শমত সাধনেরও একটা সীমা আছে, যে সীমার অতীতে উভয় উভয়তঃ কেহ কাহারও শমত সাধন করিতে পারে না এবং তাঁহাকেই শুদ্ধ অদৃষ্ট বা শুদ্ধ আত্মিক শক্তির কার্য্য বলা যাইতে পারে। *్క এই প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে, অথবা নৈসর্গিক নিয়মানুসারে, মানুষ একক বা সমষ্টিভাবে নানা অবস্থার ভাগী হয়, এবং শারীর