পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম প্রস্তাব । २१ হইয়া থাকে হউক, আমার হয় নাই ; এবং যে ব্যক্তি সে কথা গ্রহণ করিতে চাহে, তাহারই পক্ষে তাহা গ্রহীতব্য । আমার পক্ষে, যাহা সহজ বুদ্ধিতে উপলব্ধি হয়, সহজে যাহা বিশ্বক্রিয়ার সহিত অক্ষুন্নসামঞ্জস্তসাধক, যাহার সিদ্ধান্তে চিত্ত অপার অশাস্তির স্থল হইয়া না দাড়ায় এবং যদৰ্থে কুতর্কের অপ্রয়োজন, তাঁহাই সৰ্ব্বতোভাবে শ্রেয়; এবং গ্রহণীয়। ঐ ঐ চেতনাচেতন সত্তঘাতে, ঐ ঐ বৃত্তি প্রবৃত্তি শক্ত্যাদি উৎপন্ন হয় না ; তবে তন্দ্বার। তাহারা জাগ্রং এবং বিকশিত হইয়া থাকে বটে। সে যাহা হউক, উপরি-উক্ত ঐ সকল বৃত্ত্যাদি মনুষ্যপ্রকৃতির আছে বটে ; কিন্তু বাহ্যজগতের সহ সংস্রববিরহে ঐ সকল বৃত্তি অকার্যকর। উপমায় বলিতে গেলে, উহারা শাণিত অস্ত্রস্বরূপ, কৰ্ত্তন ও শোধনযোগ্য দ্রব্য পাইল যদি, তবেই নানাবিধ কার্য্যের উৎপাদন করিল এবং সেই কার্যে সেই ধার যত্নপূর্বক প্রয়োজিত করিলে হয়ত ধারেরও বৃদ্ধি হইল ; কিন্তু যদি তাহা না পাইল, তবে অকাৰ্য্যকর হইয়া অবয়বটিমাত্র লইয়া পড়িয়া থাকে এবং অব্যবহারে মরিচ পড়ায়, হয়ত ধারের একবারে ধ্বংস হইয়া যায়। বাহাজগতের সহিত সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হইলে পর, বৃত্ত্যাদি লইয়া করিব কি ? আমার স্মৃতি আছে, কিন্তু কি স্মরণ করিব ;– আমার স্মরণীয় বস্তু কোথায় ? আমার মনীষা আছে, কিন্তু কি লইয়া তাহ খাটাইব —যে দৃষ্ট-বস্তুমার্গ অবলম্বন ভিন্ন অদৃষ্টবস্তু অনুভবের সম্ভবত শরীরধারীর পক্ষে অসাধ্য, সে বস্তু কোথায় ? অামার অহঙ্কার আছে, কিন্তু কাহার সহিত পার্থক্য দর্শাইয়া এই বোধের ভাব সম্যক্ উপলব্ধি করিব ; তুলনীয় বস্তুর অভাব। আর আর বৃত্ত্যাদি সম্বন্ধেও অবিকল তদ্রুপ কথা বলা যাইতে পারে। এই সকল বৃত্ত্যাদি নিয়োগ বা অনিয়োগে, উৎকর্ষ বা অপকর্ষ ভাব প্রাপ্ত হইয়া থাকে। আমরা, সাধারণ