পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७२७' m গ্রীক ও হিন্দু। পাশ্বে অসতের যদি এতই আবশ্যক, আস্তিকতার পার্শ্বে নাস্তিকতার যদি এতই প্রয়োজন, তবে তুমি কেন তজ্জন্ত এত বকবিকি করিয়া মাথা ধরাইতে বসিয়াছ, কেনইবা নাস্তিকতার প্রতি এতটা বিদ্বেষ ভাব প্রকাশ করিয়া থাক ? সকল স্বষ্টির আদি প্ৰবৰ্ত্তক, আদিকৰ্ত্ত জ্ঞান। মানবে সেই জ্ঞান অংশতঃ প্রদত্ত হইয়াছে ; এজন্ত মানব স্বয়ং স্বল্প হইয়া এবং স্থষ্টিমধ্যে থাকিয়াও, নিজে স্বষ্টিক্ষম । এই কারণে, যে সকল কাৰ্য্য অন্তত্র প্রাকৃতিক নিয়মে আপনা হইতে সম্পন্ন হইয়া যায়, মানুষের মধ্যে সচরাচর তাহা হয় না । মানব কিয়দংশে স্বয়ং-ক্ষম বলিয়া, প্রকৃতি তাহাদের প্রতি সেই পরিমাণে শিথিল-যত্ন বলিলে অপ্রযুক্ত হয় না । অন্যত্র সৎ এবং অসতের উপর ‘স্বয়ং-ক্ষম ভাবের অভাব হেতু, প্রকৃতি তথায় স্বয়ং যথাবিধানে কাৰ্য্য করিয়া থাকেন ; কিন্তু মনুষ্যপ্রকৃতিতে সেরূপ নহে । মনুষ্য স্বয়ং-ক্ষম ভাব হেতু, স্বেচ্ছামত সৎ বা অসতের অপরিমিত সংগ্রহে পটু। বলা বাহুল্য যে, সৎসংগ্রহই উদ্দেশু, অসৎসংগ্ৰহ অৰ্থাৎ সত্তের উপার্জন অল্প হইতে দেখিলে, কাজেই গালিগালজি করিতে হয়। অনুমান হয়, আমরা কেবল শুদ্ধ আত্মিক স্বেচ্ছাশক্তির চালনা করিতে পাইলে, হয়ত নিরবচ্ছিন্ন সৎ বা নিরবচ্ছিন্ন আসতের উপার্জন করিতে পারিতাম । কিন্তু ভৌতিক শরীরী হওয়ায় আমাদিগেতে, প্রাকৃতিক শক্তি ও স্বেচ্ছাশক্তি জড়িত এবং আধ্যাত্মিক সদসৎ ও আধিভৌতিক সদসৎ মিলিত হইয়া যাওয়ায় ; এবং প্রাকৃতিক শক্তি ও তদনুগামী সদসৎ স্বেচ্ছাশক্তির অতীত ভাবে কাৰ্য্যশীল হওয়ায় ; শুদ্ধ আত্মিক স্বেচ্ছশক্তির চালনা অথবা একেবারে গুদ্ধ অসৎ বা একেবারে শুদ্ধ সতের উচ্ছেদ বা উপার্জনে আমরা অসমর্থ। কিন্তু তাই বলিয়া যথাসাধ্য