পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব । vరిOు সার্থকতা আছে, সুতরাং নাস্তিকতারও সার্থকতা আছে এবং সে সার্থকত এইরূপ বৈপরীত্যসমাবেশস্থলে ; নতুবা যখনই তাহা আপন অধিকার-সীমা অতিক্রম করিয়া আপনি সৰ্ব্বেসৰ্ব্বা হইয়া দাড়ায়, তখনই তাঁহাকে শয়তানের প্রকৃত প্রতিমূৰ্ত্তি বলা গিয়া থাকে। আমি অনেক ভাবিয়া দেখিয়াছি, এ জগতে যত প্রকার জীব স্বষ্টি হইয়াছে, তন্মধ্যে বদ্ধমূল নাস্তিকের অপেক্ষা দুর্ভাগ্যবান জীব আর কেহই নাই। আজীবন শ্রম করিয়া, আজীবন মাথা ঘুরইয়া, আজীবন তর্ক কাটাকাটি করিয়া, শেষে সিক্সান্ত করিলেন কি,—এ জগতের স্রষ্টা কেহ নাই এবং আমিও কাহার স্বঃ নহি ; এ জগতও কিছুই নহে এবং আমিও কিছুই নহি ! এক মাত্র এই না জানিতে ‘ই’ প্রতিরূপ সমস্ত জীবন যে স্বচ্ছদে বিসর্জন করিতে পারে, অজ্ঞানকে স্থাপিত করিবার নিমিত্ত জ্ঞানকে যে আজীবনযত্নে যুপকাষ্ঠে ফেলিয়া বলিদান দেয়, তাহার অপেক্ষ দুর্ভাগ্যবান নরকাসুগ্ৰহীত জীব আর কে হইতে পারে ? নাস্তিকশিরোমণিগণ, কত কি দুরুচ্চাৰ্য্য দেড়গজি শব্দ খেলা, তর্কবিতর্ক, কাৰ্য্যকারণ আলোড়ন করিয়া সিদ্ধান্ত করিলেন কি — এ জগতে নাস্তিকতাই সৎ, আর সমস্ত অসৎ। অপূৰ্ব্ব বুদ্ধি ! তর্কজালে সমস্তই আবদ্ধ করিয়া গ্রাস করিতে উদ্যত, ঋষি অগস্ত্য অপেক্ষাও অস্তুতকৰ্ম্ম ! মূৰ্থ বাঞ্ছারাম, কত দিক ধরিয়া তর্ক টানিয়া শেষ করিবে ? এই বিশ্ব সাক্ষাৎ অনন্তমূৰ্ত্তি। যে দিকে দেখিবে, সেই দিকেই অপার অনন্তস্থত্র বিস্তৃত ও তোমাকে বেষ্টন করিয়া রহিয়াছে। প্রতি পদার্থে অনন্তের অসীম বিকাশ এবং সৰ্ব্বপদার্থে ও সৰ্ব্বত্র শক্তির অনন্ত মহিমা প্রকাশ, একবার চিন্তা করিয়া দেখিয়াছ কি ? দেখ, সীমানিবদ্ধ ক্ষুদ্রাবয়বময় কোন একটি সামান্ত অক্ষরবিশেষ ; সেটিও কোটি বিভিন্ন হস্তভেদে কোটি বিভিন্ন ভঙ্গিতে প্রকটত হইয়া থাকে ;.