পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব । WO3O সময়ে সে স্বাধীনচেতা ভাবও নাই অথচ সে লাগামও নাই ; স্বাধীনতা, তেজস্বিত এবং আত্মসম্মানের নাম করিয়া কেবল উচ্ছঙ্খলতাকে প্রাপ্ত হইয়া থাকে। মানব যদৃচ্ছ কোলাহলে যদৃচ্ছ তত্ত্ব উদ্ভাবন করিয়া ধ্বংসক্সপী ঘূর্ণাবর্তের আবির্ভাব করাইয়া থাকে। শক্তি কখনও ধ্বংস হইবার নহে এবং কখন নিষ্ফলও হয় না ; সুতরাং চালনার ফলে যখন যেরূপ, তখন সেইরূপ ফল প্রসব করে মাত্র । স্বপথগমনে যে শক্তি আগে যতটা সুফল প্রসব করিত, বিপথগমনে এখন তাঁহাই ততটা কুফল প্রসব করিয়া থাকে। যে হিন্দুশক্তি এতকাল সুশাসনস্থাপনে, শাস্ত্রপ্রকটনে, তত্ত্ব-উদ্ভাবনে এবং নানাবিধ মহৎ কার্য্যে অতিবাহিত হইত ; এখনও সে শক্তি না আছে এমন নহে, এখনও তাঁহা তাঁহাই রহিয়াছে, কিন্ত তাহা এখন প্রয়োগভেদে নিমকহালালী গোলামীকরণে, গোলামীর মহিমাগানে, অলঙ্কারশাস্ত্রনিপীড়নে, বটতলা উজ্জ্বলকরণে, কাব্য নাটক ও নবেল লিখনে, বিলাতী দর্শনবিজ্ঞানের বচনবাগীশী বিলোড়নে এবং নাস্তিকতা ও পজিটবগিরী বা পাষণ্ডতাকে মহত্ত্বের চিহ্নরূপে পরিজ্ঞাপনে পৰ্য্যবসিত হইয়া যাইতেছে। আশা কেবল এই, যথায় একের সীমা, তথায় অপরের আরম্ভ ;–বোধ হইতেছে যে, আমাদিগের এ সকল উচ্ছ জ্বলতাও সীমায় আসিয়া উপস্থিত হইয়াছে ! নাস্তিকত দুই প্রকার, এক ইচ্ছায় নাস্তিক, অপর বিপাকে নাস্তিক। ইচ্ছা-নাস্তিক যাহারা, তাহারা ঈশ্বর না থাকেন, ধৰ্ম্ম ও কৰ্ত্তবাবুদ্ধি না থাকে, পাপ পুণ্য ও পরলোক বুদ্ধি না থাকে, ইহাই নিয়ত বাঞ্ছা করিয়া থাকে ;–ইহা হইলে তাঁহাদের কুকৰ্ম্মশীল জীবনের জন্য আর ভয় পাইতে হয় না, এবং এই হেতুই তাহারা নাস্তিক হইবার জন্ত আগ্রহবান। তাহারা আপন মনের স্বভাব অনুরূপ, মনঃপুত