পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব । ૭s? বিপাক-নাস্তিক, ইচ্ছা-নাস্তিক ও ফেসিয়ান-নাস্তিক, এই ত্রিবিধ নাস্তিকের মধ্যে ফেসিয়ান নাস্তিকই সৰ্ব্বাপেক্ষা অধম । সত্য বটে যে, ইচ্ছা-নাস্তিক ঘোরতর কৰ্ম্মদূষিত, কিন্তু তথাপি দেখিতে পাওয়া যাইতেছে যে, ভালয় হউক মনায় হউক, তাহার আত্ম-অস্তিত্ববোধ এখনও লোপ হয় নাই । 驅 নাস্তিকশিরোমণি বাঞ্ছারাম কথা কহিয়া, ইতিহাস খুলিয়া, নানারূপে সৰ্ব্বদা দেখাইয়া থাকে, “তোমরা যে আস্তিকতাকে সকল মঙ্গলের নিদান বলিয়া থাক, তাহা বস্তুতঃ সকল মঙ্গলের নিদান নহে ; কারণ এ পৃথিবীতে ধৰ্ম্ম লইয়া যত বিগ্রহ বিপ্লব রক্তপাত ও নানা কুকাণ্ড হইয়া গিয়াছে, এত আর কোন বিষয় লইয়া হয় নাই ; ধৰ্ম্ম যদি প্রকৃত মঙ্গলের নিদান, তবে তাহাতে এত অমঙ্গলের ঘটনা কেন ? আর দেখ হিতবাদ বা সাম্যবাদ, যদি তাহা কার্য্যে পরিণত হয় ; তাহা হইলে এই পৃথিবী প্রকৃত স্বৰ্গস্বরূপ হইয়া দাড়ায় কি না?” ধৰ্ম্ম লইয়া যে এ পৃথিবীতে অনেক কাগু হইয়া গিয়াছে, তাহ অবশু স্বীকাৰ্য্য বটে ; কিন্তু সেই সঙ্গে ইহাও"স্মৰ্ত্তব্য যে, নাস্তিকতা লইয়া এ পৃথিবীতে যে কত কাণ্ড হইতে পারে, তাহ এ পর্য্যন্ত দেখা হয় নাই ; সুতরাং এরূপ ক্ষেত্রে নাস্তিকতা ভাল কি আস্তিকতা ভাল, তাহা প্রমাণিত হইতে পারে না । একবার, একবার এক মুহূৰ্ত্ত মাত্র, এ জগতে নাস্তিকতা, হিতবাদ, সাম্যবাদাদি কার্য্যে পরিণত করিবার চেষ্টা দেখিতে পাইয়াছিলাম ; কিন্তু তাহাতে ফরাসি-রাজবিপ্লবরূপ কি ভয়াবহ ও রোমহর্ষণকর ফলই না উৎপন্ন হইয়াছিল – ভীষণতায় সমগ্র জাগতিক ইতিহাসের কোথাও আর তাহার সমান তুলনা পাওয়া যায় না । জীবজগতের অপরাপর জীব সহ, মানবও এক প্রকৃতিবিশিষ্ট একটি জীববিশেষ ; সুতরাং হিতাহিতশৃঙ্গ উন্মাদ