পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব । ©8ዋ এখনও অশাসিত, তাহার ক্রীড়া । জ্ঞান ও ধৰ্ম্মে মনুষ্যত্ব ; এক্ষণে, ' তাহাঁর অভাবে বা নাস্তিকতার প্রবর্তনে কতদূর ও কিরূপ ফল যে ফলিতে পারে, তাহা আর বলিবার আবশ্ব্যকতা রাখে না । তবে সাম্যবাদের সমতা যে তাঁহাতে পুর্ণভাবেই ফলিতে পারে, তাহাতে আর সন্দেহমাত্র নাই। কে বলিবে যে বানরমণ্ডলে ধনী আছে, দরিদ্র আছে,—চাষার ক্ষেত্র বা কলাবেগুনের গাছ সকলেরই নিকট সমান প্রাপ্য ! আর একটি কথা আমি বড় বুঝিয়া উঠিতে পারি না। যদি নাস্তিকতাই সত্য হয়, তবে এ সংসার চলিতে পারে কিরূপে ? মানবের হিতাহিত-জ্ঞান না থাকিলে, পশুবংশের স্তায় একরূপ চলিবার পক্ষে বাধী হইত না ; কিন্তু হিতাহিতজ্ঞানের অস্তিত্ব যথায়, তথায় সেরূপ কোনমতে ত চলিতে পারে না । পশুরা চলিয়া থাকে যথাপ্রকৃতি সহজবুদ্ধি অনুসারে ; কিন্তু মানুষে বুদ্ধির আরোপাধিক্যহেতু, একমাত্র জ্ঞান ও ধৰ্ম্মের দ্বারা তাহা মুশাসিত ও সুনিয়ন্ত্রিত হইতে পারে এবং সে জ্ঞান ও ধৰ্ম্ম পুনঃ তখনই স্বপদে দাড়াইতে সমর্থ হয়, যখন তাহার মূল উদ্ধদেশের সহিত সম্বন্ধ হয়। ফবতঃ উৰ্দ্ধদেশের সহিত বন্ধনশূন্ত হইলে আমাদের সকল কাৰ্য্য, সকল চিন্তা, সকল কথষ্ট সকল নীতি, সকল জ্ঞান, সকল ধৰ্ম্ম, সমস্তই অর্থশূন্ত হইয়া পড়ে। তখন ধৰ্ম্ম এবং অধৰ্ম্ম, সত্য এবং মিথ্যা, হিত এবং অহিত, স্বদেশপ্রিয়তা, সহৃদয়ত, এ সকল অর্থহীন ও মনুষ্যনিৰ্ম্মিত নিৰ্ব্বোধের বন্ধনপাশ হইয়া দাড়ায়। তখন প্রতি নূতন তত্ত্বের আবিষ্কার প্রতি নুতন অমুখের কারণস্বরূপ হয়, যেহেতু প্রতি আবিষ্কার নূতন অভাবের উৎপাদক এবং অভাবই এ সংসারে দুঃখের কারণস্বরূপ হয়। তখন সভ্যতার বৃদ্ধি, প্রয়োজনজালের বিস্তাৱহেতু কেবল কষ্টজীবনের বৃদ্ধি বলিতে হইবে। আর যদি বল ষে তাঁহা নহে,