পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব । No Oro, প্রতিদানে যে টুকুতে আমার ভাল, কেবল সেই টুকুই অপরের জন্য করিব ; নতুবা তদতিরিক্তে কিছু করিলে কেবল আমার নিজের লোকসান এবং তেমন স্থলে কে না বলিবে যে আমি অঘোর নিৰ্ব্বেtধ নহি । আমি আমার স্বাৰ্থমুখ সহ বলি হইলাম, দেশ ৰ আর দশ । জনে তাহাতে উপকার লাভ করিল ; ইহাতে আমার লাভের অংশ কি ? আমার অংশ জীবনান্ত বাজীবনাস্তবৎ ক্ষতি স্বীকার । আর প্রথম নম্বরের পাগল কাহাকে বলে? জীবনের অন্য পরিণাম না থাকিলে, একমাত্র সুখই জীবনের উদেগু হইতে পারে এবং নাস্তিক্যজ্ঞানবাদিগণও তাঁহাই ঘোষণা করিয়া থাকে ; এরূপ স্থলে, পরহিতের জন্য যে আত্মমুখের হানি করে, তাহাপেক্ষা আরও পাগল কে ? হিন্দু শাক্যসিংহ, হিব্রু যিশুখৃষ্ট, সামান্য লোকের মধ্যে গ্রীক লিওনিদ প্রভৃতির ন্যায় বোকা ভূমণ্ডলে নাই। জগতের অপরাপর । হিতের জন্যও যাহারা জীবনের সাধারণ মুখাদিকে বিসর্জন করিয়া থাকে, যথা নিউটন, কলম্বস প্রভৃতি, তাহারাও সীমান্য বোকা নহে, এবং এ সকল বোকাও যদি চিরস্মরণীয় হইতে পারে, তবে নিশ্চয়ই সে কেবল তাঁহাদের অসাধারণ বোকামিত্বের জন্য ! কেহ কেহ হয় ত ভাবে, জীবন উৎসর্গ করার একটা প্রধান ফল ও প্রধান মুখ-যশ ; কিন্তু জিজ্ঞাসা করি, তুমি যখন আমার যশোগান করিবে, আমি তখন থাকিব কোথায় ? তবু যদি আমি সেই যশের লোভে মজিয়া যাই, তবে আকাশকুসুমে অপরাধ করিয়াছে কি ? ভোগী থাকিলেই ভেগ্যের মূল্য, অতএব আমি যখন থাকিব না, তখন আর যে যশের মূল্য কি এবং তাঁহার জন্ত যে মুখ, তাহাই বা ভোগ করিবে ও ভোগ করিতে আসিবে কে ? তাই বলি, এরূপ যে যশের ইচ্ছ, তাহাও সেই মস্তিষ্কের শিরাধমনী আদির ৰিক্ত আকুঞ্চন ও বিকুঞ্চনের