পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

જન્મ औक्स श्मूि । ফল ; এবং তেমন স্থলে, তদ্রপ সকল কর্মের মূলদেশে বস্তুতঃ একমাত্র খেয়াল ভিন্ন অঙ্গ কিছু দাড়ায় না। নিজের লোকসানে দশ জনের ভাল, স্বকপোলকল্পিত ও মূলখুষ্ঠ ষ্ঠায় অন্যায় বুদ্ধির ভ্রমে সংযম ও সম্ভোগবিরতি, এই সকল খেয়ালকে অবলম্বন করিয়া যাহারা আত্মবঞ্চনা ও নানারূপ চিত্ততৃপ্তিকর পদার্থভোগ পরিত্যাগ করিয়া থাকে, তাহাদের তুল্য আর অধিক দুর্ভাগ্যবান কে ? কিন্তু কি আশ্চৰ্য্য, তথাপি আমরা দেখিয়া আসিতেছি যে, এ জগৎ কেবল সেই খেয়ালী পাগল, বোকা বা দুর্ভাগ্যবানের দল হইতেই যাহা কিছু চির-উপকৃত হইয়া আসিয়াছে ও আসিতেছে, সুবুদ্ধিদলের দ্বারা কখন হয় নাই। “যাবজ্জীবেৎ সুখং জীবেৎ ঋণং কৃত্বা ঘূতং পিবেৎ”—দেখা যাইতেছে যে ঋণ করিয়া ঘৃত পান করিয়াও, বুদ্ধিমানগণের মুখের অঙ্কে সকুলান হওয়া দূরে থাকুক,বরং পদে পদে লাঞ্ছনা সহ অকুলান পড়িয়াই গিয়াছেঃ আর পাগল যাহারা, তাহারা বুদ্ধিমানদিগকে ঋণ দিয়াও, হাসিতে হাসিতে উজল কোলাহলপূর্ণ আনন্দ সহ এ জগৎ হইতে বিদায় গ্রহণ করিয়াছে । নাস্তিক্যবুদ্ধি ব্যক্তি ‘মুখ’রূপ ফলের জন্য কিছু অধিক আগ্রহবান এবং তাহার বিবেচনায় উহাই এ জগতে এবং এ জীবনে এক মাত্র আকাজক্ষণীয় পদার্থ; আস্তিক্যবুদ্ধিও যে সাধারণতঃ ‘মুখ’ পদার্থের জন্ত কিছু কম ব্যস্ত, তাহা নহে। তবে কি না স্বথ-ধারণা ও ধারণামূল, উভয়েতে স্বতন্ত্র। ‘মুখ’ পদার্থ কি ?—ইহাতে যাহার যেমন ধারণা, সকলে সেই স্বস্ব ধারণা অবলম্বনে তদাশয়ে, নিজ-কৃত ঘূর্ণাবৰ্ত্তমধ্যে বিঘূর্ণিত হইয়া ফিরিতেছে; এবং সতে বা অসতে, যথায় যখন স্বীয় কল্পিত মুখের ছায়াপাত দেখিতেছে, তখন তথায়, সতে বা অসতে, ইতস্ততঃ বিচরণ করিয়া কখন আত্মতৃপ্তি, কখন বা আমূলতঃ আত্মধ্বংস