পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७éरे গ্রীক ও হিন্দু। এ নিমিত্ত তাহার অনুসরণক্রিয়া এবং ফলও তদ্রুপ বিকৃত এবং পরিণাম-: বিরস হইয়া থাকে। অতএব কেবল “মুখ” “মুখ” করিয়া মাতালের স্তায় ভ্রান্তিমদে মাতিয়া বেড়াইও না। যেমন তোমার মূলশূন্ত বিকৃত মুখচেষ্টা অনীতি ও অহিতাদির কারণস্বরূপ হয়, তোনার যশের চেষ্টাও তদ্রুপ ; কারণ উহাও কৰ্ত্তব্যসাধনের পুরস্কার বিশেষ বা মুখের অংশকলা, উহাও সুখের দ্যায় মুখেরই জন্য অনুসর্তব্য নহে। পুনশ্চ, কৰ্ত্তবাবুদ্ধি ব্যতীত কেবল যশ:প্রার্থী কখন এ জগতে প্রতিষ্ঠালাভ করিতে পারে না ; যশ উপার্জনে কোথাও না কোথাও তাহার গোল পড়িয়া যায়ই যায়। ভাল, আরও একটা কথা জিজ্ঞাসা করি, যশ কত দিনের বস্তু ? কাল যথায় অনন্ত, তথায় যশ দ্বিসহস্র বা দ্বিলক্ষ বর্ষ স্থায়ী হইলেও ত তাহা মুহূৰ্ত্তবং ! মুহূৰ্ত্ত এবং বর্ষে প্রভেদ কি ? ইহার ধারণা কি এতই কঠিন ? সুখের ধারণা নাস্তিকদিগের সর্বদাই বিকৃত, তাহার কারণ উৰ্দ্ধদেশের সহিত সংস্রব-ছিন্নে তাহাদের কৰ্ত্তবাবুদ্ধির অত্যন্ত অভাব। মুখধারণায় নাস্তিকের মূল, বাসনা মাত্র ; আর আস্তিকের মূল কৰ্ত্তবাবুদ্ধি । যাহা হউক, তথাপি দেখিতে পাওয়া যায় যে, কোন কোন নাস্তিক এখনও আপনি না খাইয়া অন্তকে খাওয়ায় ; কেহ বা আপনার ক্ষতি করিয়া অষ্ঠের হিত করে ; এবং সকলেই গুরুর প্রতি ভক্তি, লঘুর প্রতি দয়া, সদাচার, সত্যাসত্য, ইত্যাদির মোত একেবারে ছাড়াইতে পারে নাই। সাধ্য কি ? পথে হউক, অপথে হউক, মানব স্বয়ং কৰ্ম্মক্ষম বলিয়াই যে সে সকল কৰ্ম্মক্ষম তাহা নহে, তাহারও সীমা আছে। সুপথমুখে হউক বা কুপথমুখে হউক, তাহার সাধ্য কি যে প্রকৃতির যে নির্দিষ্ট গণ্ডি, তাহা একেবারে অতিক্রম করিয়াস্বাধীন হয়। অতএব নাস্তিক এবং আস্তিকের মধ্যে ফলে এই পৰ্য্যন্ত