পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাৰ । * ©¢ፃ ইহারা অর্থপ্রাপ্তির জন্য যে কোন প্রকার নীচতা স্বীকারে কুষ্ঠিত ছিল না। দিওনিস্বাসের নিকট আরিষ্টিপুস একদা অর্থ যাচূঞা করায়, দিওনিক্সাস অত্যন্ত বিরক্ত হইয়া ও ভৎসনা করিয়া বলিল, ”তুমি বলিয়াছিলে না যে, জ্ঞানীদিগের কখন অভাব হয় না ?” আরিষ্টপুস—“আগে আমাকে কিঞ্চিৎ দিউন, পরে যাহা বলিবেন, তাহার উত্তর দিতেছি।” 幡 দিওনিস্বাস কিঞ্চিৎ দান করিলে পর, অর্থ দেখাইয়া—“এই দেখুন, অামার কথা সত্য কি না ।” আর এক সময়ে, দি। “কি জন্য তুমি এখানে আইস ?” আ । “যখন তত্ত্বজ্ঞানের আবশুক ছিল, তখন সক্রেটিসের দুয়ারে ষাইতাম ; এখন অর্থের আবশ্বক, এখন কাজেই তোমার দুয়ারে আসিয়া থাকি।” আরও এক সময়,। দি । “তত্ত্ববিদেরা কি কারণে ধনীর দুয়ারে আসিয়া থাকে, কই ধনীরা ত তত্ত্ববিদের দুয়ারে যায় না ?” আ । “তাহার কারণ, তত্ত্ববিদেরা তাপন অভাব যাহা তাহ বুঝে ; কিন্তু ধনীরা আপন অভাব কি, তাহা বুঝে না।” ইহার মতে, ভাঙ্গা এবং আভাঙ্গা ঘোড়ায় যে প্রভেদ, শিক্ষিত এবং অশিক্ষিতে সেই প্রভেদ। আরিষ্টিপুসের শিক্ষায়, ‘ন্যায় যিশ “অযশ’ বলিয়া বস্তুতঃ কোন পদার্থ নাই ; লোকের মনের খেয়াল হইতে ঐ ঐ বিষয়ক জ্ঞান উৎপন্ন ও বদ্ধমূল এবং ব্যবহৃত হইয়া আসিতেছে । থিওডোরুসের মতে,—‘মুখ এবং দুঃখ, এই দুইটি মুখ্য বস্তু। মুখ জ্ঞানের দ্বারা লাভ হয়, দুঃখ অজ্ঞান হইতে প্রবর্তিত হয়। বন্ধুত্ব বলিয়া কোন পদার্থ নাই, কারণ তাহ কি নিৰ্ব্বোধ কি জ্ঞানী কাহারই