পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব । @@> হয়। জাবালির উক্তি রামায়ণ হইতে নিয়ে উদ্ধৃত করিয়া দেওয়t যাইতেছে। জাবালি রামকে বুঝাইতেছেন,— “রাম, তুমি সুবুদ্ধি এবং তপস্বী, সামান্ত মানবের ন্যায় তোমার ; পিতৃবাক্য-প্রতিপালন-বিষয়িণী বুদ্ধি নিরর্থক না হউক। কিন্তু পিতা পুত্র সম্বন্ধই মিথ্যা ; এ জগতে কে কাহার বন্ধু, কাহার দ্বারা কোন পুরুষ কি প্রাপ্ত হইয়া থাকে ? জীব একাকীই জন্মগ্রহণ করে, আর একাকীই বিনষ্ট হয়, অতএব ইনি মাতা, ইনি পিতা, এইরূপ সম্বন্ধ নিবন্ধনপূর্বক যে ব্যক্তি তাঁহাতে আসক্ত হয়, তাহাকে উন্মত্তবৎ জ্ঞান কর, কেহই কাহারও নয় । যেমন লোক গ্রামান্তরে গমন করত কোন গৃহের বহির্ভাগে বাস করে, পরদিন সেই আবাস পরিত্যাগপূর্বক প্রস্থান করিয়া থাকে, তেমনি পিতা, মাতা, গৃহ, ধন, সম্পত্তি মনুষ্যগণের আবাস মাত্র । হে কাকুৎস্থ ! সজ্জনগণ এ বিষয়ে সংসত্ত হয়েন না ।” পুনশ্চ, “দশরথ তোমার কেহই নহেন, তুমিও তাহার কেহই নহ ; রাজা । স্বতন্ত্র, তুমি স্বতন্ত্র ; অতএব আমি যাহা কহিতেছি, তাহাই কর। পিতা জীবগণের বীজ, অর্থাৎ নিমিত্ত কারণ মাত্র ; ঋতুমতী মাতার গর্ভে একত্র মিলিত শুক্র ও শোণিতই উৎপাদনের কারণ, অর্থাৎ তাহাতেই ইহলোকে পুরুষের জন্ম হয়। সেই নৃপতি যে স্থানে গমন করিয়াছেন, তোমাকেও তথায় যাইতে হইবে, সুতরাং তাহার সহিত তোমার সম্বন্ধ কি ? ভূত সকলের স্বভাবই এইরূপ, কিন্তু তুমি পুরুষাৰ্থভোগে নিস্পৃহ হইয়া বৃথা নষ্ট হইতেছ। যাহারা প্রত্যক্ষসিদ্ধ রাজ্যাদিরূপ পুরুষাৰ্থ পরিত্যাগপূর্বক অপ্রত্যক্ষ পারলৌকিক ধৰ্ম্ম আশ্রয় করিতে তৎপর হয়, আমি তাহাদিগের জন্ত দুঃখ প্রকাশ করি ; অন্তের জন্য শোক করি না, কেননা তাহারা ইহলোকে দুঃখভোগ করিয়া জীবনাস্তে