পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

తోఆన్ని औक € श्लूि । বিহিত দেখিতে পাওয়া যাইতেছে। ধূৰ্ত্ত, ভণ্ড ও নিশাচর এই তিন জন বেদের কর্তা ” ای চাৰ্ব্বাক কেবল উক্ত মত, প্রমাণাদি প্রয়োগ দ্বারা সমর্থন করিয়াছেন মাত্র। ইহার মতে ভূত চতুৰ্ব্বিধ, ক্ষিতি, অপ, তেজ ও মরুং । যেমন ভিন্ন ভিন্ন দ্রব্যসংযোগে মদ প্রভৃতি বিভিন্নগুণবিশিষ্ট এক একটি অন্ততর পদার্থ উৎপন্ন হইয়া থাকে, এই ভূতচতুষ্টয়ের সংযোগেও তেমনি চৈতন্তের উদয় হয় ; আবার সেই সংযোগ ভাঙ্গিয়া গেলেই চৈতন্ত বিনাশ প্রাপ্ত হয় এবং তাঁহাতে পরলোক বা প্রেত কল্পনার কোনই আবশ্যকতা দেখা যায় না । চৈতষ্ঠবিশিষ্ট দেহে দেহের অতিরিক্ত যে আত্মা আছে সে পক্ষে প্রমাণাভাব, সুতরাং তাহা অসিদ্ধ। প্রমাণ একমাত্র যাহা প্রত্যক্ষ তাহাই গ্রাহ ; অনুমানাদি প্রমাণ নহে। ইহার মতে ইষ্টানিষ্ট বা অদৃষ্ট নাই, জগদ্বৈচিত্র আকস্মিক এবং স্বভাব হইতে উৎপন্ন। অঙ্গন-আলিঙ্গন জন্ত সুখপ্রাপ্তিই একমাত্র পুরুষাৰ্থ, মানব তাহারই অনুসরণ করিবে । মুখ প্রাপ্ত হইতে হইলে দুঃখও অপরিহার্য্য, যেহেতু সকল বস্তুই মুখদুঃখজড়িত, কিন্তু তাই বলিয়া মুখামুসরণে ক্ষান্ত হইবে না। তহে এইরূপ উপমা দ্বারা দেখান হইয়াছে,—দেখ মৎস্তে শঙ্ক কণ্টকাদি আছে, তাই বলিয়া কি কেহ মৎস্ত ভক্ষণ পরিত্যাগ করিবে ; অথবা ভিক্ষুকে জ্বালাতন করে বলিয়া, কে বল অন্নাদি পাক করিয়া না খায়, ইত্যাদি। যদি কোন ভীরু দুঃখের ভয়ে সুখ পরিত্যাগ করে, তবে সে পশুবৎ মূর্ধ। যদি কশ্চিৎ ভীরুং দৃষ্টং মুখং ত্যজেং তহিঁ স পশুবন্মুখে ভবেৎ।।" অতঃপর গ্রীক নাস্তিকচুড়ামণি এপিকু্যরসের নাস্তিকতার সার তত্ত্বগুলির কোন কোন অংশ, অগ্ৰে দিওগিনীস লেয়ার্টিরস হইতে সংগ্ৰহ করিয়া নিম্নে দেওয়া যাইতেছে।