পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম প্রস্তাব । vE) সমাবেশে বিশ্বনিৰ্ম্মিত এবং জগৎ নিৰ্ম্মিত মানবের আধিভৌতিক অংশও অবিকল সেই একইবিধ গুণপদার্থ সমাবেশে নিৰ্ম্মিত হইয়াছে ;– অনেকানেক বিজ্ঞ ব্যক্তি মানবদেহকে ক্ষুদ্রায়তন বিশ্ব বলিয়া বর্ণনা করিয়া গিয়াছেন, এখন দেখিবে সে বর্ণনা কেবল অলঙ্কারপূর্ণ অত্যুক্তি নহে,তাহা পূর্ণমাত্রায় সত্যপূর্ণ এবং সৎ। কেবল মনুষ্যদেহ নহে, কি জড় কি অজড় যে কোন সামান্ত বস্তুখণ্ডও অবিকল সেই একইবিধ বিশ্বগুণপদার্থসমাবেশে নিৰ্ম্মিত ;—যাহাতে যাহাতে বিশ্বরচিত, ক্ষুদ্র বৃহৎ ও সামান্ত মহৎ, সকল বস্তুই তাহাতে রচিত ; পৃথক কেবল, রচিত পদার্থের প্রকৃতি ও আয়তন অনুসারে, রচক গুণ ও পদার্থ সকলের পরিমাণ লইয়া । এ সংসারে এমন কোন পদার্থ নাই, ধাহাতে অপর কোন এক পদার্থ সম্মিলিত হইতে না পারে ; সুতরাং ইহা নিশ্চয় জানিও যে, মিলিত ও মেলকে সমপদার্থত্ব ভিন্ন, কখনও মিলনশক্তির সম্ভাবন হইতে পারে না। দূৰ্ব নিহারিক ও নক্ষত্রসত্ত আকর্ষণ করিয়া যে আলোকমালা আসিতেছে, তাহাও তোমার আমার দেহ এবং এই পৃথিবীর সর্বত্র সম্মিলিত হইয়া যাইতেছে ; তাই জিজ্ঞাসা করি, সম্মিলনের অভাব কোথায় দেখাইতে পার বল দেখি ? অতএব এ তত্ত্ব অনুসারে স্বচ্ছন্দে বলিতে পারা যায় যে, ক্ষুদ্র বা মহৎ প্রতি পদার্থই এক একটি বিশ্বপ্রতিরূপ এবং এই নিমিত্ত, ব্যষ্টি সমষ্টি বিভাগ সত্ত্বেও, এই সমস্ত স্থষ্টি এক বিশাল বৈরাজ ও অদ্বৈত সংসার স্বরূপ। এই নিমিত্ত কোন এক স্থানে গুণ ও পদার্থ বিশেসে ঘাত প্রতিঘাত হইলে, নিক্ষিপ্ত লোষ্ট্রোখিত জলমণ্ডলবৎ ক্রম প্রসারণে তাহা সৰ্ব্বত্রগামী হইয়া , অথবা তাড়িতবেগবৎ চালকস্বরূপ সৰ্ব্বপদার্থে পরিচালিত হইয়া ; সকলকেই বিক্ষোভিত বা এক আকর্ষণস্থত্রে সকলকেই আকৰ্ষিত করিয়া, সৰ্ব্বত্র আকৰ্ষিতের স্বভাবভেদে, অমুকুল বা প্রতিকুল