পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

AOtt9 औक ७ श्मूि । একবারে উড়াইতে পারিয়া বন্ধনছিন্ন ঘোড়ার স্তায় একেবারে দিগ্বিদিকশূন্ত হইয়া ছুটিয়াছে ; এপিকুরসে যদিও সে পরলোক নিরাকৃত এবং ন্যায়-অন্তয়-জ্ঞান-মূলখুন্ত হইয়াছে বটে, তথাপি সে স্বাধীনত্ব ও যথেচ্ছাচারিত্ব তেমনটা পরিমাণে দেখিতে পাওয়া যাইতেছে না। তাহার কারণ, ইহার পরলোকের প্রতি ভয় এমন যে, তাহার নিবারণ করিতেই তাহার সমস্ত চেষ্টা পৰ্য্যবসিত হইয়া গিয়াছে ; তদতিরিক্তে উন্মাদিত হইতে আর অবসর হইয় উঠে নাই। চিরভয়শূন্ত গ্রীকচিত্তে, পরলোকবোধের নব বুদ্ধি সহসা জাগরিত হওয়াতেই, এতটা ভয় সঞ্চালন করিতে সমর্থ হইয়াছিল —অনভ্যাস মধ্যে সহসা অভ্যাস, সাধারণ অপেক্ষ সহজেই কিছু উগ্ৰমূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া থাকে। এপিকু্যরসের মানিত ন্যায় অন্যায়, সৎ অসৎ, সত্য অসত্য ইত্যাদি বিষয় কেবল ভয়ের যে কিছু কারণ, তাহার বিভীষিকা ও উত্তেজনা হইতে গঠিত। দেখা যাইতেছে যে, ইহার মতে মুখ যাহা, তাহা ভয়ের নিরীকরণে এবং দুঃখ যাহা তাহ ভয়ের আধিক্যে। লৌকিক ভয়ের বিনাশ নিমিত্ত, নীতি ও বন্ধুত্বের প্রয়োজন এবং লোকাতীত ভয় দুর করিবার জন্ত নাস্তিকতাজ্ঞানের আবশুক। এপিকু্যরসের তত্ব-ব্যাখ্যান দেখিলে বোধ হয়, যেন তিনি নিতান্তই ভয়াক্রান্ত ছিলেন। দুঃখের নিরাকরণ করিতে গিয়া বুদ্ধদেবের নির্বাণ ; আর ভয়ের নিরাকরণ করিতে গিয়া এপিকু্যরসের নাস্তিকতা। অনুসন্ধানে যতদুর পাওয়া যায়, তাহীতে এই জানা যায় যে, এপিকু্যরসের জীবন অপেক্ষাকৃত নীতিসম্পন্ন ছিল এবং মৃত্যুকেও ইনি সাহস ও সদানন্দ চিত্তে আলিঙ্গন করিয়াছিলেন। ইহার পরবর্তী শিষ্যবর্গে কিন্তু আর সেরূপ ভাব থাকে নাই ; তাহারা, বহু পরিমাণে যথেচ্ছাচারী হইয়া উঠিয়াছিল।