পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব । היפאסא এপিকু্যরস বলিয়া থাকেন, এই বিশ্ব অনন্ত, পরমাণু সহযোগে নিৰ্ম্মিত। পরমাণু,অনন্ত বিভাগে বিভাজ্য নহে ; উহারা অবিরত গতিশীল এবং পরস্পর যোগ বিয়োগ অনন্ত আকৃতি গ্রহণে পটু। পরমাণু সকল অনন্ত কাল হইতে যোগ বিয়োগে স্বষ্টি রচনা ও ধ্বংসাদি করিতেছে ও অনন্ত কাল করিতেও থাকিবে । পরমাণু, ও তাহার স্বভাবের কখনও বিনাশ নাই। এপিকু্যরসের নিকট ইন্দ্রিয়গ্রাহ প্রত্যক্ষ প্রমাণই বলবান, তবে অনুমানও একেবারে পরিত্যক্ত হয় নাই ; অনুমানের দ্বারা আকাশ ও দেশের অস্তিস্থ অবধারিত হইয়া থাকে। বিশ্বব্রহ্মাও অনন্ত, এবং পৃথিবীও একটা নহে, বহুতর এবং অসংখ্য । বলিয়াছি, পরমাণু,অবিরত গত্মিশীল ; সেই গতিযোগে এবং পরস্পর সংযোগে রূপের উৎপত্তি হইয়া থাকে। শরীরাদি বলিয়া আমরা যাহা প্রত্যক্ষ করি, তাহ ঐরুপ রূপবিশেষ। বহির্জগৎস্থ পদার্থনিচম্বের সহ ইন্দ্রিয় সকল সমগুণধৰ্ম্মাদিবিশিষ্ট হওয়ায়, তাহদের পরস্পর আকর্ষণ ও ঘাত প্রতিঘাতে শ্রবণ ভ্ৰাণ প্রভৃতি ইন্দ্রিয়-বিষয়গুলি সমুৎপাদিত হয়। চৈতন্ত ও জ্ঞান যাহা, তাহা শরীরের অভ্যন্তরস্থ কতকগুলি স্বল্প পরমাণুর স্বল্প সমাবেশ হইতে উৎপন্ন হয়। উহ যে শরীরে যে প্রকার ও যে পরিমাণে সমাবিষ্ট, তথায় সেইরূপ বিভিন্ন স্বভাব ও ক্রিয়া সকল প্রকাশ করিয়া থাকে ; সুতরাং ইহা হইতেই মানব বিভিন্ন প্রকৃতির হয় । পরমাণুর ক্রিয়াশক্তি দেহের সঙ্গে সৰ্ব্বত্রই কিছু না কিছু সম্বন্ধবৰ্ত্তী, এজন্ত তাহার যে কিছু কাৰ্য্য, তাহ সমস্ত শারীরিক ইন্দ্রিয়কে স্পর্শ করিয়া থাকে। দেহঘটিত সেই সকল কাৰ্য্য পুনঃ আত্মাকেও গিয়া স্পর্শ করে ; এজস্ত দেহ ও আত্মা, ইহারা পরস্পর পরস্পরের মুখে বা দুঃখে মুখইঃখবান। দেহের সহিত তন্নিহিত আত্মা এবং চৈতন্যেরও ধ্বংস