পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

©ፃ © গ্রীক ও হিন্দু। যদিও মূলে কোনরূপ প্রতিভাস-সংস্রবে উৎপন্ন হইয়াছে বটে, কিন্তু পরে তাহার আর সাক্ষাৎ সম্বন্ধে রূপ-সংস্রব না থাকায়, কাজেই তদ্বারা ভ্রমের উৎপত্তি হইয়া থাকে। দ্বিতীয়তঃ, যেরূপ প্রতিভাস প্রত্যক্ষ এবং অনুভূত হইতেছে, চিন্তাশক্তি তাহাকে তাহার অতিরিক্ত বুদ্ধিতে লইয়া যায়। যে কোন বিষয়, উপযুক্ত প্রমাণ গ্রহণ ও কথিত মত ভ্রান্তি নিবারণপূর্বক, যুক্তি দ্বারা স্থাপিত করিলে তাহাই যথার্থ সত্যস্বরূপ হয় । আশ্চৰ্য্য ! মানব কি সামান্ত বিষয়ের উপর নির্ভর করিয়া, কি গুরুতর বিষয় সকলের মীমাংসা বা তাহার নির্ণয় করিতে উদ্যত হইয়া থাকে । চোখের উপরেই প্রতি কালপরিবর্তনে প্রতি দর্শন-মথিত মতাদি অকৰ্ম্মণ্যতায় পড়িয়া যাইতেছে, অথচ প্রত্যেক দার্শনিক ভাবিয়া থাকে যে, আমি যাহা করিলাম, ইহা অভ্রান্ত এবং সৰ্ব্বকামপ্রদ। না হইবে কেন ? নিত্য শত শত লোক মরিতে দেখিয়াও যে মানবচিত্ত আপনাকে অমর বলিয়া জ্ঞান করে, সে মানব চিত্তযে স্বরুত মত অভ্রান্ত এবং সৰ্ব্বকামপ্রদ বলিয়া বিবেচনা করিবে, তাহাতে বিচিত্রতা কি ? নাস্তিক-তত্ত্ববিদ্যার ভালমন্দ ভেদ অতি অল্পই, ইহা ফলে সৰ্ব্বত্রই সমান এবং শিষ্যবৰ্গও সৰ্ব্বত্র সমান পরিপক্ক যগু হইবার কথা । নাস্তিকতার গুণ এমনি যে, মানবকে পাষণ্ড হইতেই হইবে । নাস্তিকতার উদ্ভাবক বাল্যাভ্যস্ত আস্তিক্যশিক্ষায় সংস্কারবশতঃ কোনরূপে ভাল থাকিলেও, নাস্তিকতার শিষ্যবৰ্গকে ভাল থাকিতে প্রায়ই দেখা যায় না —এপিকু্যরসের সংশিক্ষা সত্ত্বেও, এপিকু্যরসের শিষ্যবর্গের যথেচ্ছাচার জগৎপ্রসিদ্ধ । ফলতঃ, গ্রন্থনস্থত্রের অভাবে কখন মাল্য মুগ্রথিত ও সুসজ্জিত হইতে পারে না ; বিক্ষিপ্ত ছন্ন ভাবই সেরূপ স্থলের নিয়ম । পুনশ্চ, প্রকৃতির মিথ্যা বা অচিৎভাগ