পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব । ৩৭৩ গগনভেদিনী । চাৰ্ব্বাকের প্রত্যক্ষ প্রমাণপ্রিয়তা হেতু যদিও তাহার ভক্ষ বাহাদর্শনের আবশ্বক বটে, তথাপি চিন্তাশক্তির আতিশয্য হেতু ইচ্ছা সত্ত্বেও তাহার মন তদ্বিষয়ে অন্তমনা ও অবৈজ্ঞানিক হইয়া পড়িয়ছে ; এ নিমিত্ত হিন্দুর নাস্তিক তত্ত্ব প্রবল ও প্রচণ্ড, শৃঙ্খলমুক্ত উন্মাদমূৰ্ত্তি এবং অতিশয় বীভৎস ভাবাপন্ন। হিন্দুর আস্তিকতাও যেমন উচ্চ অঙ্গের, উহার নাস্তিকতার যে শিক্ষা, তাহাও তদ্বিপরীতে তেমনি অতিশয় বীভৎস আকার ধারণ করিয়াছিল। হিন্দুর নাস্তিকত গ্রীকের সহ সম শ্রেণীর কোন কারণবিশেষ হইতে উৎপন্ন হয় নাই ; উহা প্রধানতঃ নিরাশা হইতে উৎপন্ন। মোক্ষপ্রয়াসী হইয়া পরলোক নির্ণয় ও তাহ আয়ত্ত করিবার জন্য অপরিমিত চেষ্টা করিতে করিতে, হিন্দু নাস্তিকের ভাগ্যে আবার সন্ধান না মিলায়, হিন্দু নাস্তিকতার উৎপত্তি হইয়াছে। যখন উৎপন্ন হইল, তখন যাহার জন্ত চেষ্টা হেতু এত ক্লেশ পাওয়া গিয়াছে, সেই আস্তিকতার উপর যেন প্রতিশোধ লইবার জন্তই, নাস্তিকতা ওরূপ বীভৎস আকার ধারণ করিয়াছিল । অনেক যত্নের পদার্থে বিফলতার উপস্থিতি হইলে, তাহাতে অনেক দুর্দশা উপস্থিত হইয়া থাকে। কিন্তু ঘোর অস্তিকতাময় হিন্দু সমাজে, নাস্তিকতা বড় একটা গা মেলিতে ও আত্মপ্রকাশ করিয়া উঠিতে পারে নাই। বুদ্ধ-শিক্ষণকে অনেকে নাস্তিকতা বলিয়া থাকে বটে, কিন্তু কি কাজে, কি অনুষ্ঠানে, তাহা পূর্ণ আস্তিকতায় আসিয়া দাড়াইয়াছে। উহাদের মধ্যে বহুপরবৰ্ত্তী মাধ্যমিক নামক একটি সম্প্রদায়ই কেবল কতকটা নাস্তিকতার ভাব অবলম্বন করিয়াছিল। যাহা হউক, এ দেশে নাস্তিকতার শিষ্যসংখ্যা যদিও সমাজ মধ্যে বিশেষ গণনায় কখন আইসে নাই, তথাপি সমাজকে এবং বিশেষতঃ ধৰ্ম্মব্যবসায়ীদিগকে যে উক্ত নাস্তিকতা