পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

औक ७ श्लूि । 8רסא যথেষ্ট উত্তেজিত করিয়াছিল, যে পক্ষে সন্দেহ অতি অল্পই । ধৰ্ম্মব্যবসায়ীরা যে ক্রমে ক্রমে ধৰ্ম্মানুষ্ঠানকে জাকাল ও জটিলতর করিয়া তুলেন, তান্ত্রিক পঞ্চমকারের প্রবর্তনাপূৰ্ব্বক, নাস্তিক যথেচ্ছাচারকেও যে ধম্মানুষ্ঠানভুক্ত করিয়া লয়েন, এবং শেষে লোকের অমুসন্ধিৎসা বৃত্তি ও দর্শনশক্তি প্রভৃতি হরণ করিয়া সৰ্ব্বসাধারণকে ষে ধৰ্ম্মকার্য্যের নানারূপ কল্পিত কঠোর বন্ধনে বন্ধন করেন, এই নাস্তিকতার উত্তেজনা তাহার একটি অন্ততর কারণ স্বরূপ। অনেকে ভাবিয়া থাকে যে, কেবল স্বার্থসাধন উদ্দেশুেই ধৰ্ম্মব্যবসায়ীরা ঐরূপ ঐরূপ অনুষ্ঠান ও আচরণ সকল অবলম্বন করিয়াছিল ; হইতে পারে অংশত তাঁহাই, কিন্তু কেবল তাহা নহে। যে বিধি বা যে অনুষ্ঠান বহুলোকমধ্যে ব্যপশীল হয়, কেবল স্বার্থমূলকতায় তাহ উৎপন্ন হইতে পারে না । হইতে পারে যে, এ সময়ে স্বার্থের কিছু আধিক্য হইয়াছিল ; কিন্তু তাহা হইলেও এমন কতকগুলি উপলক্ষ্যের আবশ্বক যে, যদ্বারা স্বার্থ সাধন করিতে করিতেও লোক সকলকে এমন বুঝাইতে পারা যায় যে, আমরা যাহা করিতেছি, তাহ তোমাদেরই ভালর জন্য করিতেছি । গ্রীকভূমিতে নাস্তিকতা বহুব্যাপিনী হইয়াছিল। সক্রেটিস ও প্লেটোর পূৰ্ব্বে পরলোকের ধারণা বা চিন্তা ততটা পরিস্ফুট না থাকায় লোকে আস্তিকতত্ত্বকে সাধারণতঃ সাংসারিক মঙ্গলোদেশেই নিয়োজিত করিত ; অতএব আস্তিকতা এখানে অতি ক্ষীণপ্রাণ ছিল বলিতে হইবে। এমন স্থলে, ভয়শূন্ত অস্ফুট যে পরলোক, বাহার থাকা বা নী থাকায় তাহ প্রতিলোকে তত আগ্রহযুক্ত নহে, যদি বুঝাইতে পারা যায় যে বস্তুতঃ অস্তিত্বশূন্ত এবং সাংসারিক মঙ্গল যাহ, তাহ দেবাচনা নী করিলেও পাওয়া যায়, অথচ সামাজিকতারও কোন হানি হয় না :