পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব। כילסא সামাজিকতা-বিষয়িণী তত্ত্ববিদ্যা গ্রীকদিগের মধ্যে যত প্রকারের উদ্ভাবিত হইয়াছে, তাহার মধ্যে প্লেটোর সাধারণতন্ত্র ( Republic ) নামে যে গ্রন্থ, তাহাই বহুবিখ্যাত এবং সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ বলিয়া পরিগণিত হইয়া থাকে। প্লেটো ইহা আত্মিক মুল হইতে কল্পনা এবং স্থাপনা করিয়া গিয়াছেন । প্লেটোর মতে মনীষা, শ্রদ্ধা এবং আকাজক্ষ এই তিনটি বৃত্তি মনুষ্যকে স্তায়পথে চালনা করিবার প্রধান পরিচালক। আকাজক্ষ হইতে সকল প্রকার কার্য্যের উৎপত্তি হয়, মনীষা তাহার সদসৎ নিরূপণ করিয়া থাকে, এবং শ্রদ্ধায় সেই সদসৎ ভাবের মধ্যে সৎভাবকে স্থাপনার্থে মনীষাশক্তির সহায়তা করে। এই তিনের সম্মিলনে “ন্যায়” রূপী আর একটি চতুর্থ পদার্থের উৎপত্তি হয়। যাহা ব্যক্তি-বিশেষের পরিচালক, ব্যক্তি-সমূহ দ্বারা সংঘটিত সমাজের পরিচালকও তাঁহাই । অতএব সমাজস্থাপন ও পরিচালনার্থে মনীষার প্রতিরূপ রাজন্তবর্গ, শ্রদ্ধা প্রতিরূপ যোদ্ধৃবর্গ এবং আকাঙ্ক্ষা প্রতিরূপ শ্রমজীবিগণ। এই তিন সম্মিলিত হইলে আর একটা চতুর্থ পদার্থের উৎপত্তি হয়, তাহা স্তায়াধিকার ( Law ) অর্থাৎ রাজ্যমধ্যে সুবিচারের আবির্ভাব। যে সকল ব্যক্তি অজ্ঞ ও তত্ত্বজ্ঞানে অন্ধ, অর্থাৎ নিম্নশ্রেণীর সমাজস্থগণ, তাহারা রাজন্তপদে অধিকার প্রাপ্ত হইবে না। যে শ্রেণী হইতে রাজন্তবর্গ মনোনীত হইয়া থাকে, যোদ্ধৃবর্গও তথা হইতে মনোনীত হইবে ; অর্থাৎ একই শ্রেণীর মধ্যে শিক্ষা এবং গুণের তারতম্য অনুসারে, কেহ রাজস্ত, কেহ যোদ্ধশ্রেণীভুক্ত হইবে । অতঃপর এই ত্ৰিবিধ শ্রেণী যেরূপ পরস্পর মুসম্মিলনে কাৰ্য্য করিবে রাজ্যের দুর্ভাগ্য বা সৌভাগ্য তাঁহার উপর নির্ভর করিবে । ইহার পর প্লেটো সামাজিক জীবনযাত্রায় ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের জন্য, . ভিন্ন ভিন্ন প্রকার সমিতি ও অনুষ্ঠান আদির প্রকরণ বর্ণন করিয়াছেন ;