পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

or 8 औरू ७ श्लूि । নিরাগ এবং কথায় কথায় রাগ, ইহার মধ্যবৰ্ত্তী যাহা, তাহা নম্রতা । হিংসা এবং ক্রুর বৈরতা, ইহার মধ্যবৰ্ত্তী যাহা, তাহ রাগ। গৰ্ব্ব এবং মুখচোরা ভাব, ইহার মধ্যবৰ্ত্তী যাহা, তাহা লজ্জা। ইত্যাদি। এই মধ্যমভাবরূপী সংজ্ঞানে আসিবার নিমিত্ত আরিষ্টটল এই ত্ৰিবিধ উপদেশ দিতেছেন,–১ম ; যে অতিরেক ভাব মধ্যম ভাবের বিরোধী, তাহা হইতে যতদূর পার দূরে যাইবে —২য় ; যে বিষয়টার প্রতি মন নিতান্ত ধাবিত, তাহা যথাসাধ্য পরিহার করিবার চেষ্টা করিবে । ৩য় ; আমোদের মোহে ভুলিও না । আরিষ্টটল বলিতেছেন যে, আমরা যে ঠিক সামঞ্জস্তময় মধ্যভাবে সৰ্ব্বদাই উপস্থিত হইতে পারিব, এমন আশ করা যাইতে পারে না ; অতএব অল্প ইতর বিশেষ কিছু হইলে, তাহা মার্জনীয়। পুনশ্চ, এরূপ মধ্যভাবে উপস্থিত হওয়ার জন্ত কোন নিয়মও ঠিক করিয়া বাধিয়া দেওয়া যাইতে পারে না ; এ বিষয়ে আমাদের জ্ঞান এবং নীতিই সুন্দর পথ-প্রদর্শক । আরিষ্টটল বয়ঃবালককে বা বৃদ্ধকে, বালক বা বৃদ্ধ বলেন না ; জ্ঞানের তারতম্য অনুসারেই বালকবৃদ্ধাদি পৃথকত্ব হইয়া থাকে। ইহার মতে, সামাজিকতার শ্ৰীবৃদ্ধি সৰ্ব্বতোভাবে সাধনই পরম পুরুষাৰ্থ ; এবং তজ্জন্ত ইনি প্লেটোর ন্যায় নৃতন সাধারণতন্ত্র কল্পনা করিতে প্রস্তুত নহেন ; উপস্থিত অবস্থার সংস্কার দ্বারা তাহাতেই যথাসাধ্য সৎ-ভাবের স্থাপন, ইহার উদ্দেশু । প্লেটোর সমাজ-তত্ত্ব সকলের সহ আরিষ্টটলের বড় একটা সহানুভূতি ছিল না। উপরে কথিত প্লেটোর সামাজিকতা, সামাজিক সম্পত্তি এবং সমাজিক স্ত্রীপুত্রবিষয়িণী তত্ত্ব, আরিষ্টটলের দ্বারা যথেষ্ট পরিমাণে দূষিত এবং উপহসিত হইয়াছে। (৩) ফলতঃ গ্রীকতত্ত্ববিৎদিগের মধ্যে একমাত্র অরিষ্টটল যেরূপ সমাজের এবং o l Aristot. Polit. II. c. 2.