পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম প্রস্তাব । ©bሥፃ লেখক,” “কৰি,” “মহাকবি” ইত্যাদি নামে এক দিনের জন্ত খ্যাত হয়েন কিরূপে ? এবং কেনই ব| তাহদের প্রতি চটী চাপাটী “প্রসিদ্ধ গ্রন্থ, "সুপ্রসিদ্ধ গ্রন্থ” ইত্যাদি খ্যাতিতে বিখ্যাত হইয়া থাকে ? এখন গ্রন্থাদির উদ্দেশ্য কি ?—কথাটা কিছু গোলমেলে বটে, কিন্তু মোটের উপর এই পৰ্য্যন্ত বলিলে পর্য্যাপ্ত হইবে যে, গ্রন্থাদির উদেখা ভাষার গায়ে গহনা পরান, ভাষার সম্পত্তি বৃদ্ধি করান, সঙ্গে সঙ্গে নিজের যশ, খ্যাতি এবং বাহবা উপার্জনও বটে। আমরাও বলি তাহাই, তবে কিনা নূতনকেতাব লিথিতে বসিয়া কথাটা একটু ফিরাইয়া ঘুরাইয়া নূতন করিয়া না বললে ভাল দেখায় না, এই জন্যই এখানে সে কথায় এ কথায় যাহা কিছু প্রভেদ দৃষ্ট হইবে। এ সংসারে বিদ্য এবং অবিদ্যার যুগপৎ রাজত্ব। বিদ্যা সত্যেদ্ভাসক, অথবা স্বয়ংই সত্যস্বরূপ ; অবিদ্যা তাহার বিপৰ্য্যয়, মিথ্যা এবং ভ্রম। অথবা আরও সোজা কথায়, যাহা কিছু অসৎ-শিক্ষার বিনয়, তাহা অবিদ্যা । শ্রুতিতে কথিত আছে যে, ইন্দ্রপ্রমুখ দেবগণ ব্ৰহ্ম সাক্ষাতে দণ্ডায়মান হইয়াও, ততক্ষণ র্তাহাকে কিছুমাত্র চিনিঙে পারেন নাই, যতক্ষণ না বিদ্যারূপিণী দেবী উম হৈমবতী তাঁহাদের সঙ্গায়তায় আগমন করিয়াছিলেন। মানুষ অনন্তহৃদয়ে দাড়াইয়াও, ততক্ষণ অনন্তকে কিছুমাত্র উপলব্ধি করিতে পারে না এবং সত্য সাযু্য পাইয়াও ততক্ষণ সত্যকে কিছুমাত্র চিনিতে পারে না, যতক্ষণ না বিদ্যা অসিয়া তাহাঁদের সহায়তা করে । বিদ্যার স্বরূপতা সত্য ; অপরিজ্ঞত প্রলয়াবৰ্ত্তকে নিয়মাধীন করিয়া জ্ঞাত সংসারে আনয়ন তাহার শক্তি। ইহাগত মানবের পক্ষে লোকবিদ্যারই প্রথম প্রয়োজন ; ধর্ম ও তত্ত্ববিদ্যা প্রভৃতি যাহা, তাহা লোকবিদ্যাকে অবলম্বন করিয়াই আয়ুবিকাশে সমর্থ হয়।