পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-\లిసి ఆ গ্রীক ও হিন্দু । বিধিনিষেধ পালনে, কৰ্ম্মস্থলে দোষাদোষ পর্য্যবেক্ষণপক্ষে স্বাধীনতার ভাগ অতি অল্পই –বিশেষতঃ যখন হিন্দু বিধিনিষেধ সকল দেবীজ্ঞাস্বরূপে প্রচারিত। অনুষ্ঠানিক রীতি, তদ্রুপ মার্গ ও প্রথা অবলম্বনে তদ্রুপ ফলাকর্ষণ না করিয়া এবং বিধিনিষেধে বাধ্য না হইয়া, পূৰ্ব্ব পূর্ব ঘটনা সকলের সামঞ্জস্ত ও সমীকরণ এবং কাৰ্য্যকারণ নিরূপণে যে ফলাকর্ষণ করে, তাহারই দ্বারা আত্মপরিচালনা করিয়া থাকে এবং প্রত্যক্ষ দর্শনের দ্বারা দোষাদোষ সংশোধনপূৰ্ব্বক, ক্রিয়াপথে অগ্রসর হয় । বলা বাহুল্য যে, এ পথে অনুষ্ঠাতার স্বাধীনতাভাগ অনেক অধিক । উপপাদ্য রীতির ফল, তত্ত্ব ; আর আনুষ্ঠানিক রীতির ফল, বিজ্ঞান। তত্ত্ব ভাবী পরিণাম এবং বিজ্ঞাম উপস্থিত শুভাশুভ লইয়া ব্যস্ত। তত্ত্ব ভাবী পরিণামব্যবসায়ী বলিয়া অপেক্ষাকৃত দূরদর্শনসম্পন্ন ; আর বিজ্ঞান তদ্রুপ কারণভিাব হেতু দুরদর্শনে অপেক্ষাকৃত হন। এই কারণ হেতু দেখা যায় যে, তাহা বিধিনিষেধস্বরূপ অথবা সূত্রাকারে স্মরণ করিয়া রাখিতে হইত। সুত্ৰসকল মুখে মুখে ব্যাখ্যাত বিষয়ের স্মারকলিপি মাত্র। ভিতরের কথাসকল গুরুমুখগত হওয়ায়, হিন্দুদিগের মধ্যে গুরুর এতটা মান ; যেহেতু শুরু রাষ্ট হইলে অনেক কথা না শিখাইতে পারেন এবং তুষ্ট হইলে সকল কথাই শিথাইতে পারেন । দ্বিতীয়তঃ গুরুভক্তি বিষয়ৰিশেষে বিশ্বাস স্থাপনেরও উপায়স্বরূপ বটে ; যেহেতু হিন্দুধর্মে অনেক বিষয় আছে যাহা অকপট বিশ্বাসের উপর নির্ভর করিয়া থাকে। সে যাহা হউক, ভিতরের কথাসকল গুরুমুখগত হওয়ার প্রথম দোৰ এই যে, তাহা সাধারণের অগোচর থাকায়, কাৰ্য্যকারণ ও সোপান জ্ঞান জন্ত যে বিষয়ের উত্তর উন্নতি, তাহা হইতে পায় না। দ্বিতীয়তঃ কালে উপযুক্ত গুরুর অভাবে তাহা একেবারেই লোপ হইয়া যাওয়ার সম্ভাবনা ;–অনেক বিষয়েতে হইয়াছে ও তাঁহাই, অনেক বিষয়েতেই এখন নেড়া ও বোচা বিধিনিষেধ মাত্র লক্ষিত হয় । তৃতীয়তঃ দুষ্ট গুরু ও দুষ্টমতের বড়ই প্রাদুর্ভাৰ হইয়া থাকে এবং তাহাতে অপরিসীম অপৰ্থ সাধিত হয় ; বর্তমান সময় অপেক্ষ ইহার ক্লেশকর দৃষ্টান্ত আর হইতে পারে না।