পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম প্রস্তাব । రిసె উপপাস্তক্ষেত্রে, বিষয়সকল দুরদর্শন সম্পন্ন হওয়াতে, অনুষ্ঠানে হীনতা সত্ত্বেও, অপেক্ষাকৃত দীর্ঘস্থায়ী হয়। হিন্দুর জাতীয় জীবন ও কৰ্ম্ম এবং গ্রীকের জাতীয় জীবন ও কৰ্ম্ম, এতদুভয়ের দীর্ঘস্থায়িত্ব তুলনা করিলেও, তাহা প্রতিপন্ন হইতে পরিবে । উপরি-উক্ত বিবৃতি দ্বার প্রতিপন্ন হইবে যে, প্রকৃতিতে হিন্দু তাত্ত্বিক, আর গ্রীক বৈজ্ঞানিক। (২) তত্ত্ব এবং বিজ্ঞানে অনেক তফাৎ । তত্ত্বের কার্য্য, প্রাপ্ত পদার্থের যথাদৃষ্ট ভাবে সন্তুষ্ট না হইয়া, তাহার স্বরূপতা জ্ঞানের অনুসরণ । আর বিজ্ঞানের কার্য্য, যথাদৃষ্ট ভাবকেই যথেষ্ট জ্ঞান করিয়া, পদার্থটির সাধ্যসাধন প্রক্রিয় অবধারণপূৰ্ব্বক তদবলম্বনে পদার্থাস্তরের উপলব্ধি ও প্রাপণ । তত্ত্ব আধ্যাত্মিক পথে অধিকতর কার্য্যকরী হইলে হইতে পারে ; কিন্তু সাংসারিক পথে, বিজ্ঞানের কার্য্যকারিতা অপরিসীম। তবে একটা কথা এই, তত্ত্বজাত জ্ঞান আয়তনে সঙ্কীর্ণ হইলেও জিনিসটা খাটি এবং তাহ সামঞ্জস্ত গুণে সমর্থ ; বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের ন্যায় একের প্রশ্রয় দিতে গিয়া ২ । বলিতে কি বাঞ্ছারাম, গ্রীকের বৈজ্ঞানিকতটা এতই বেশী যে, তাহাদের উত্তরাধিকারী আধুনিক ইউরোপীয়গণ, এমন কি, মিথ্যা কথনকে পর্ষ্যগু বিজ্ঞানের পদবীতে উঠাইয় তাহার অসীম শোভাসম্পাদন করিতে সমর্থ হইয়াছে ; বিজ্ঞান পদবীতে উঠিয়া মিথ্যা কথা ডিপ্লোমেসি, ভদ্রতা সভ্যতা ইত্যাদি, নানা মোলায়েম নামে অভিহিত ও ব্যবহৃত হইয়া থাকে ; ফলতঃ উহার ব্যবহার ভিন্ন আজিকালি ইউরোপে লোকযাত্রা চলা দুষ্কর। বলা বাহুল্য যে, এই বিজ্ঞানপ্রাসাদাৎ আধুনিক ইউরোপীয়গণ সৰ্ব্বদাই জগৎ-পয়:মলে সত্যবাদী আর ভারতীয়ের পোড়া কপাল পোড়া ! কেবল সেই বিজ্ঞানের অভাবহেতু, কুড়ের কোণে নিৰ্ব্বাক বসিয়াও পাহাড়ে মিথ্যাবাদী ! ! কে না বলিবে, ছিটা ফোট কালির দাগ অপেক্ষা সব কালীতে শোভা এবং গরব বেশী ! ধন্ত পাশ্চাতোর বিজ্ঞানশক্তি ! ধন্ত ডিপ্লোমেলীপ্রস্থত উন্নতিশালিনী খ্ৰীষ্টীয় ইউরোপ । বল-বোম্বেটেগরিকে আরও ধন্ত ; যাহাতে দুর্বল বা পরাধীনের প্রতি যােচ্ছ। বাক্যপ্রয়োগে সাহস হয় Ill