পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম প্রস্তাৰ । i. © ᎼᏩ কোনরূপে বিরুদ্ধবাদী হইয়া সামঞ্জস্যচ্যুত হইতে না পায়, কেবল এই পৰ্য্যন্ত দৃষ্টি রাখিয়া, দেশকালাহুরূপ যথাসম্ভব লোকযাত্রা বিধায়করূপে উহার অবধারণা করিলেই উদ্দেশু সুসিদ্ধ হয়। ব্যবহারনীতি ধৰ্ম্মনীতির ফলস্বরূপ, স্বয়ং ধৰ্ম্মনীতি নহে। অতএব ব্যবহারনীতি, পারলৌকিক গৃঢ়ভাবসমাহিত ধৰ্ম্মনীতির পদবীতে কখনও উঠবে না; অথচ ব্যবহারনীতি ব্যবহারনীতিই থাকিয়া ধৰ্ম্মনীতির বিরুদ্ধবাদী হইয়া বিকৃতি হইতে পাইবে না; ইহা হইলে সেই ব্যবহারনীতি, ধর্থনীতির সহিত সামঞ্জস্ত সংরক্ষিত্ত হওয়াতে, পূর্ণ সংসারহিতকর আকার ধারণ করিয়া থাকে। হিন্দু এবং গ্রীকদিগের মধ্যে প্রচলিত । ব্যবহারশাস্ত্র আলোচনা করিলে সেই সামঞ্জস্তের বড়ই অভাব দেখিতে পাওয়া যায়। স্ব স্ব বিভিন্ন গুণময় চিত্ত ও প্রকৃতি অনুসারে, একের হাতে যেমন উহা ধৰ্ম্মনীতির পদবীতে উত্থিত এবং তাহার খাতিরে, প্রকৃত লৌকিক স্বার্থ যাহা, তাহা কথন কখন উপেক্ষিত ; তেমনি অপরের হাতে উহা ব্যবহারনীতির অতিব্যবহার নীতিত্বে আনিত এবং তজ্জন্ত ধৰ্ম্মনীতিও কথন কখন উপেক্ষিত, ইহাই দেখিতে পাইয়া থাকি। উভয়েতেই, সম্ভবপর ও সাময়িক লোকাচারকে অতিক্রম করিয়া, বিধান প্রদানের ঘটায় কিছুমাত্র ক্রাট হয় নাই ; এজন্ত উভয় স্থানেই ব্যবহার-শাস্ত্রের কোন কোন অংশ লোকসাধ্যের সাধনাতীত হেতু অনুষ্ঠিত হইয়া পড়িয়াছিল। কিন্তু কি জন্য—কোথায় কি কি বিষয়ে সেই সকল অতিনীতি, যাহা অননুষ্ঠিত ? এখানেও স্বস্ব জাতীয় স্বভাব আত্ম-পরিচয় প্রদান করিতেছে । হিন্দুদিগের ব্যবহারনীতিতে, ধর্থনীতির প্রতি আবশ্বকের অতিরিক্ত দৃষ্টিহেতু নৈতিক জটিলতা, দীনতা এবং চরিত্রসঙ্কোচ ; আর গ্রীকদিগের মধ্যে লোকনীতির প্রতি আবশ্বকের অতিরিক্ত দৃষ্টিহেতু, নীতিতে