পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

62 || 8) এসকল কিসের জন্ত ? সামাজিক স্বাধীনতা এবং সাংসারিক বুদ্ধিতে যাহা সৌভাগ্য ও সম্পং বলিয়া ধারণা, তাহ বাহাতে অটুট থাকে, তাহারই উপায় সংসাধন জন্ত । এখন দেখ, ব্যবহারনীতির নিকট ধৰ্ম্মনীতি এবং অধিক কথা কি, যে মনুষ্যত্বের জন্ত ব্যবহারনীতির আবশ্বক, সেই মনুষ্যত্ব পর্য্যন্ত, কিরূপ নৃশংসভাবে বলি প্রদত্ত হইয়াছে। এই ব্যবস্থাদাতার ব্যবস্থামালায়, আমরা যাহাকে । ধৰ্ম্মবুদ্ধি বলি, তাহার সঙ্গে কোন কারবারই নাই ; তবে হইতে পারে তাহার নিজের বিকৃত ধৰ্ম্মবুদ্ধির সঙ্গে এ সকল সামঞ্জস্তযুক্ত ছিল। কথিত আছে, এই সকল ব্যবস্থা প্রণয়ন করিয়া, লাইকর্গস ডেলফি নগরস্থ আপলো দেবের সন্মতি গ্রহণ করেন। গ্রীকের দেবতারাও চতুর সংসারবিং ; যখন যেরূপ ভক্ত দেখিতেন, তখন সেইরূপ অনুমোদন বা অননুমোদন করিতেন। এই ডেলফির দেবমন্দিরে আলেকজাণ্ডারের এক টিপনে, কুদিন ঘুচাইয়া আলেক্জাণ্ডারের ইচ্ছামত মুদিন কৃত হইয়াছিল। সে যাহা হউক, ভাবিয়ছিলাম, ভারতীয় নীতির সঙ্গে. উদ্ধৃত গ্ৰীকনীতির দুই একট তুলনা করিষা দেখান যাইবে যে, পরস্পরের মধ্যে প্রভেদ কোথায় । কিন্তু ভারতীয় নীতিসমূহের মধ্যে এমন একটিও খুজিয়া পাই না, যাহা উহার কোন না কোনটির সহিত সমজাতীয়ত্বহেতু তদ্রুপ তুলনায় আসিতে পারে। গ্রীকের মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রাচীন ব্যবহারশাস্ত্র তাঁহা, যাহা মিনে৷ কর্তৃক ক্রীটদেশে প্রদত্ত হইয়াছিল ; কিন্তু তাহা কিরূপ, তদৰ্থে অধিক নীতি প্রকৃত লাইকর্গস কর্তৃক প্রকাগুরূপে প্রচারিত হইয়াছিল কি না, তৎপক্ষে কেহ কেহ সন্দেহ করেন । হইতে পারে, উহা লাইকর্গসের নয়, কিন্তু এটা নিশ্চয় যে, ঐরূপ নীতি স্পার্টায় প্রচলিত ছিল। আমাদেরও ইহা হইলেই যথেষ্ট । কারণ আমাদের উদ্যে লাইগসের অনুসন্ধান লওয়া নহে, অনুসন্ধান जeब्रां औक छब्रिटजब्र ।