পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ఇఅ গ্রাঙ্ক ও হিন্দু। ষায় এবং হিন্দুর বিশ্বাসে ইহপর লোকে তাহাপেক্ষ তুর্ভাগ্য ও ধৰ্ম্মভ্রষ্টতা আর কিছুই হইতে পারে না । অতএব মন্থর কঠোরতা, সকলের সার ধৰ্ম্মপথে ব্যাঘাত হয় বলিয়া । সোলনের অপর বিধি, সামাজিক যে কেহ রাজকীয় চর্চার অংশভাগী না হইবে, সে অসম্মানিত ও দেশমধ্য হইতে বহিষ্কৃত হইবে । হিন্দু ব্যবস্থাগ্রন্থে ইহার সহিত তুলনীয় বিধি কোথাও খুজিয়া পাওয়া যায় না। এতদ্বারা কোন জাতি রাজনীতিক ও সামাজিক জীবনে কতটা লিপ্ত ও অস্থিাযুক্ত ছিল এবং কোথায় কি পরি মাণে লোকে তাঁহাতে অংশভাগী হইত, তাহার সুন্দর পরিচয় পাওয়া যাইতেছে। মন্থর বিধি, যদি কেহ কাণ, খোড়া কুঁজোকে, কাণ খোড়াদি শৰে ডাকে, তবে তাহার এক কাৰ্য্যপণদণ্ড হইবে। মাত, পত্নী, ভ্রাতা, পুত্র অথবা গুরু, ইহাদিগের যে গ্লানি করে ও গুরুকে যে পথ না দেয়, তাহার একশত পণ দণ্ড হইবে । গ্রীক ব্যবস্থাগ্রন্থে এরূপ দয়াদাক্ষিণ্যপূর্ণ বিধি কোথাও পাওয়া যায় না ; বরং তদ্বিপরীতে কঠোরতা ও ক্রুরতার একশেষ ! উপরের বিধি যেমন গ্ৰীকচরিত্রের, এই বিধিদ্বয় তেমনি হিন্দুচরিত্রের সুন্দর নির্দেশক বলিয়া জানিবে। . সোলনের পূৰ্ব্বে লোক, মৃত শক্রর শরীর লইয়া খণ্ডবিখও ও তাহার উপর নানাবিধ বীভৎস আচরণ করিত ও করিতে পাইত ; এবং হত আত্মীয়ের জন্ত রাজদ্বারে অভিযোগ না করিয়াই, প্রতিশোধস্বরূপ হত্যাকারীকে হত করিতে পারিত। সোলনের সময়ে উহ রহিত হয়। হিন্দুর ব্যবস্থায়, মৃতদেহ সৰ্ব্বদাই ধৰ্ম্মবিধানে অসদাচরণ হইতে স্বরক্ষিত ; এবং প্রায় যে কোন গুরুতর অপরাধস্থলে, রাজদ্বার ভিন্ন অন্ত উপায়ে প্রতিশোধ লওয়ার নিয়ম ছিল না।