পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૧૭૨ ोक ७ इन्ट्र । সাহায্যে খুব উদ্ভাবিত হয় ; যেমন প্লেটোর সাধারণতন্ত্র, রুষোর সোসিম্বলি কণ্টাক্ট (সামাজিক সংস্থান), বেস্থাম ও মিল প্রভৃতি ৰিধিতৰ ও ইউটিলিটা, ইত্যাদি। এ সকল সৰ্ব্বসময়েই অসার অকাৰ্য্যকর এবং ভ্রান্তিমীচিকাস্বরূপ ; কার্য্যে লাগাইতে গেলে, কেবল ঘূর্ণবৰ্ত্ত ও বিপ্লব উপস্থিত হইয়া থাকে। সে যাহা হউক, গ্রীকদিগের বিধি যাহা, তাহা প্রধানতঃ প্রথম রকমের ; আর হিন্দুদিগের বিধি প্রধানতঃ দ্বিতীয় রকমের। হিন্দু ঋষিরা, সামাজিকতার অপূর্ণ ও হীন অংশ পূরণ করিতে গিয়া কিছু বাড়াবাড়ি করিয়া ফেলিয়াছেন ; এই জন্য, তাহদের অনেক বিধি লোকের দ্বারা প্রতিপালিত হওয়া অসাধ্য হইয়া উঠিয়াছিল। তথাপি, হিন্দু ঋষিরা যে সীমা অতিক্রম করিম কথিত তৃতীয় রকম বিধিদাতাদিগের শ্রেণীতে আসিয়া উপস্থিত হয়েন নাই, তাহার প্রমাণ এই যে, হিন্দুরা সেই সকল অতিবিধি পালন করিতে না পারিলেও, পালনযোগ্য জ্ঞানে সেই সকলের নিকট ভক্তিসংযুক্ত ছিল ;–ফলতঃ অতিৰিধি হইলেও, দেশ কাল পাত্রের সীমা বহির্ভূত হইয়া যায় নাই ; স্বীয় স্বীয় সামঞ্জস্যপরিত্যাগে চূড়ান্ত সীমায় উঠিয়ছিল মাত্র। লাইকর্গল এবং সোলনের বিধি দেখিলে আপাততঃ উহা দ্বিতীয় রকমের বিধি বলিয়া ভ্রম জন্মিতে পারে বটে, কিন্তু বস্তুতঃ তাঁহা নহে । লাইকৰ্গসের বিধি বহুলাংশে দ্বিতীয় রকমে প্রসারিত , বলিয়া যদিও ধরিয়া লইতে পারা যায়, কিন্তু সোলনের সম্বন্ধে সে কথা বড় একটা খাটে না । সোলনের বিধি প্রধানতঃ প্রথম রকমের এবং দেশ কাল ও পাঞ্জ অনুসারে রচিত্ত ও স্থাপিত হইয়াছিল। সত্য বটে সোলনের বিরুদ্ধে । বিদ্রোহীচরণ অনেক হইয়াছে, কিন্তু তাহ কেবল জনকয়েক স্বার্থসাধক লোকের দ্বারা; নতুৰ সাধারণে তাহার প্রতি আগ্রহাতিশয়যুক্ত ও