পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

औक ७ श्नूि । সহজোৎপন্ন দ্রব্য এবং এমন কি, পেটের ভাতমাত্রে যথেষ্ট অভাব পূরণ হইল বলিয়া বিবেচনা করিত। অথবা অন্ত দৃষ্টিতে দেখিতে গেলে, যেখানেই অল্পসংখ্যক লোকে অধিক বাহ সৌভাগ্যের আড়ম্বর করে, সেইখানেই কালের দশ সকল কালে সমান হইয়া থাকে। রাজকর যদিও অতি সামান্ত এবং রাজশাসন মোটের উপর যদিও শাস্তিদায়ক ছিল বটে, কিন্তু যেখানে সৰ্ব্বতোমুখী ক্ষমতা একজনের হাতে স্তন্ত, সেখানে যে সময়ে সময়ে ব্যতিক্রম ঘটিত না, এমন হইতেই পারে না । তাহার পর, রাজকৰ্ম্মচারীর অত্যাচার বা প্রজার ধনরক্ষায় রাজার অমনোযোগিতা, ইত্যাদি ক্রটিও প্রজার নির্ধনতার পক্ষে অপর কারণ। এই শেষোক্ত কারণ, বোধ হয়, সময়ে সময়ে বিশেষরূপে প্রবল হইত ; যেহেতু দেখিতে পাওয়া যায় যে, কৃষক, আপন আবগুকের অতিরিক্ত কিছু বেশী ধন উপার্জন করিলে, তাহা ভয়প্রযুক্ত ভূগর্ভে প্রোথিত করিয়া রাথিত (৫১) ফলতঃ সৌভাগ্যাদি যখন জাতিগত না হইয়া ব্যক্তিবিশেষগত হয়, তখন সেই সৌভাগ্য এবং শিল্পাদি, যতই উন্নতি প্রাপ্ত হউক না কেন, স্থায়ী কোন চিহ্ন এ জগতে রাখিয়া যাইতে পারে না । শিল্প সৌভাগ্যাদি জাতিগত হইলে সাধারণতঃ এরূপ হয় না ; তখন তাহদের ফলস্বরূপ জাতীয় কীৰ্ত্তি প্রায়ই নানারূপে স্থায়ী হইয়া জাতীয় মহাপ্রাণতার সাক্ষ্য প্রদান করিয়া থাকে। এই কারণে গ্ৰীক শিল্প ও সৌভাগ্যাদি ভারতীর শিল্প ও সৌভাগ্যাদির অপেক্ষা, কতই অপূৰ্ব্ব ৪১ অযোধ্যাকাণ্ডে, রাম বনে যাইবেন বলিয়া, লোকে দুৰ্বত্তা কেকেয়ীর পুত্রদিগের রাজত্বে বাস করিতে হইবে, এই ভয়ে কহিতেছে, “সমৃদ্ধ তালি ধনাদি পরিবস্তাজিরাশিচ। উপাত্তধনধাস্তানি হৃতসারাণি সৰ্ব্বশ: ॥”