পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

औरू ७ शिकू । প্রদর্শনে এবং জাতীয় জীবনের ভিত্তি দৃঢ়বন্ধনে কখন সমর্থ হইবে না। সকল স্থানেই, নিম্ন শ্রেণীর দরিদ্রতা, সাধারণতঃ জাতীয় জীবনের দৃঢ়বন্ধন পক্ষে অন্তরায়-স্বরূপ হয় ; কিন্তু ভারতের পক্ষে, বিশেষতঃ আধুনিক ভারতের পক্ষে, তাহাত আছেই; অধিকন্তু ভারতীয় অনাস্থাযুক্ত মানবপ্রকৃতি তাঁহাতে সোণায় সোহাগা স্বরূপ হইয়া দাড়াইয়াছে । একের জালায় রক্ষা নাই, তাহার উপর এই যুগলসংযোগ বাঞ্ছারাম, যদি আবার জাতীয় সৌভাগ্যের প্রার্থী হও, তবে এরূপ নিৰ্ব্বিবাদ ঔদাস্যপূর্ণ প্রকৃতি অগ্রে সংশোধন কর ; তাহার পর সৰ্ব্বজনীন ভাবের অন্তরায় যাহা যাহা, তাহা কায়মনে নিপাত কর। সাধারণ লোককে অগ্রে উখিত কর, নতুবা মঙ্গলের সম্ভাবনা নাই। তুমি এক উঠিলে ফল কি, তোমার পৃষ্ঠবল কোথায়? কৃষিশিল্পাদি সম্বন্ধে যে চিত্র দেখা গেল, বাণিজ্যবিষয়ক চিত্র ষে তাহা অপেক্ষ কিছু অধিক মনোহর, তাহা নহে। ভাল দেখা যাউক । অন্তর্বাণিজ্য অর্থাৎ দেশমধ্যে যে বাণিজ্যের চলাচল হইয়া থাকে, তাহার বিষয় কিছু ললিবার আবশ্বক রাখে না। যখন দেখা যাইতেছে যে, অসভ্য সমাজের মধ্যেও অন্তর্বাণিজ্যের চালনা রহিয়া থাকে, তখন এই সভ্য সমাজেও যে ছিল, তাহা বুঝাইতে যাওয়া সময় অপব্যয় মাত্র। সমাজের সভ্যতা ও সৌভাগ্যাবস্থা, প্রচুর পরিমাণে কৃষিজাত দ্রব্যের উৎপত্তি, লোক এবং দ্রব্যাদি চলাচলের জন্য যান ও রাজপথাদি, এবং এরূপ নদীমাতৃক দেশে নৌকাগমনাগমনের বহুল উল্লেখ, এই সকলকে যদি সে কালের অন্তর্বাণিজ্যের ছবিস্তৃতি পক্ষে বহিশ্চিষ্ণুস্বরূপ ধরা যায় ; তাহ হইলে ভারতীয় প্রাচীন গ্রন্থাদিতে তাহদের এতই উল্লেখ আছে যে, তাহাতে ভারতের তাৎকালক অন্তর্বাণিজ্য জডি সমৃদ্ধিশালী ছিল ৰলিয়াই বলিতে হয়।