পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম প্রস্তাৰ । 883: আমরাও এখানে তদ্রুপ বলিয়া कख हऐणांभ । ঃপর eি বাণিজ্যের বিষয় কিঞ্চিৎ দেখা যাউক । ধনগমের প্রধান উপায়স্বরূপ বৈদেশিক বাণিজ্যের অবস্থা, সেই প্রাচীন সময়ে কিরূপ বিস্তৃত ও উন্নতিশালী হইয়াছিল, তাহা আলোচনা করা যাইতেছে। এখানে প্রায়ই অন্ধকারে পদক্ষেপ করিতে হইবে। বিদেশ-বাণিজ্য সম্বন্ধে বণিজে দূরগামিনঃ ইহা বাল্মীকি কর্তৃক অসংখ্যবার উল্লিখিত হইয়াছে। পুনশ্চ, রামায়ণে দ্বীপবাসী এবং সামুদ্রিক বণিকের তত অধিক পরিমাণে উল্লেখ না পাওয়া যাউক, কিন্তু পাওয়া যায়। রামায়ণের এক স্থানে লিখিত আছে, "উত্তর পশ্চিম এবং দক্ষিণ দেশস্থ দ্বীপবাসী এবং সামুদ্রিক বণিকেরা রত্ন উপহার প্রদান করুক।”(৫২) 廳 এখানে দেখা যাইতেছে যে, বহুদূরগামী বাণিজ্য কেবল স্থলপথে নহে, জলপথেও আছে। জলপথে গমন কেবল বাল্মীকির সময়ে নহে, বৈদিক আমলেও ইহার উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায়। ঋগ্বেদে (১-১১৬,১-২৫,৭-৮৮) “নাব সামূদ্রীয়” বাক্যের উল্লেখে, অবশুই সমূদ্রগামী জাহাজ বলিয়া প্রতীত হইবে। কিন্তু এখন কথা এই যে, এ সমুদ্রগমন আর্য্যেরা আপনারা করিতেন, না অন্যকে গমনাগমন দেখিয়া “নাবসামুীয়" শব্দ মন্ত্র মধ্যে গাথিয়া রাখিয়াছেন ? যাহা হউক, এখানে একটি বিষয় কিন্তু নিশ্চয়রূপে প্রতিপন্ন হইতেছে ধে, আর্যেরাই জাহাজে চড়িয়া অন্যের দেশে যাউন বা অন্যেই জাহাজে চড়িয়া তাহদের দেশে আমুক, এ জয়ের যে কোন স্বত্রে হউক, জাহাঙ্গী বাণিজ্যের তৎকালে দেশ মধ্যে একেবারে অপ্রচার ছিল না। তাহার পর কথা এই, জাৰ্য্যেরা যদি জাহাজে চড়িয়া না ৫২ ৷ রামায়ণ ২। ৮৫ ৷