পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রীক ও হিন্দু। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে হিন্দুর ততটা সঙ্কীর্ণদেশে আবদ্ধ ছিলেন না । শৰ্ম্মণাচাৰ্য্য ও কল্যাণ শৰ্মা ম্লেচ্ছদেশগমনে নিজেকে পতিত জ্ঞান করিলেও এবং মন্ত্র প্রভৃতিতে কৃষ্ণসার-বিচরিত দেশের অতিরিক্ত গমনে বিধিবিধান না থাকিলেও, সে প্রাচীনকালে হিন্দুরা কাৰ্য্যতঃ এতটা বিধিব্যবস্থা মানিয়া আপনাকে কুঞ্চিতপদ করেন নাই ৷ শৰ্ম্মণচাৰ্য্য ও কল্যাণ শৰ্ম্মী, উভয়ই সংসারত্যাগী বানপ্রস্থাবলম্বী। সংসারভাগীর ধর্শ্ব ও বিধিনিষেধ হইতে, সংসারীর ধৰ্ম্ম ও বিধিনিষেধ হিন্দুসমাজের মধ্যে সকল কালেই পৃথক। এজন্ত অনেক বিষয়ে দেখা যায় যে, যে আচরণ একের পক্ষে নিষিদ্ধ, অষ্ঠের পক্ষে তাহা প্রশস্ত । অতএব শৰ্ম্মণাচাৰ্য্য প্রভৃতি যেখানে পতিত জ্ঞান করিতেন, সংসারিগণ সেখানে সেরূপ পতিত জ্ঞান নাও করিতে পারেন। তাহার পর, মনুসংহিতা প্রভৃতিতে যত বিধিনিষেধ দেখিতে পাওয়া যায়, সকলেই যে সংহিতার সঙ্গে সম প্রাচীন, তাহা নহে ; কালক্রমে প্রক্ষিপ্ত অংশও তাহাতে অনেক জুটিয়াছিল। এখন কে বলিতে পারে যে, দূরদেশ গমনের নিষেধাত্মক বিধিসকল সেইরূপ প্রক্ষিপ্ত অংশভূত নহে। ফলতঃ প্রাচীন কালের প্রচলিত ব্যবহার যাহা দেখা যায়, তাহা যেন সে সকল নিষেধকে প্রক্ষিপ্ত স্বরূপই প্রমাণ করাইয়া থাকে। কাৰ্য্যতঃ আমরা দেখিতে পাই যে, যে ম্লেচ্ছদেশগমনে শৰ্ম্মণাচাৰ্য্য ও কল্যাণ পতিত জ্ঞান করিয়াছিলেন ; সেই ম্লেচ্ছকস্তাকে আবার হিন্দুরাজ চন্দ্রগুপ্ত পত্নীত্বে গ্রহণ করিয়াছিলেন, অথচ পতিত হয়েন নাই। ফলতঃ তৎকালে বাক্তিরাদেশস্থ গ্রীকদের সঙ্গে বিবাহসমন্ধ অনেক ছিন্দুরই ঘটয়াছিল। পুরাণ ও মহাভারত প্রভৃতিতে দেখিতে । পাওয়া যায় যে, অনেক হিন্দু রাজ বা রাজপুরুষ দিগ্বিজয় প্রসঙ্গে ৰ তথাবিধ কারণে, সসৈন্ত মেছদেশে গমনপূর্বক বহুদিন ওখায় ৰিনা