পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম প্রস্তাব । Oఆ –কিন্তু ভারতীয়েরা স্বয়ং বিদেশগমনের দ্বারা বাণিজ্য নিৰ্ব্বাহ করিলেও, ইউরোপভূমিতে এমন অনেক ভারতীয় দ্রব্যের ব্যবহার দেখিতে পাওয়া যায় যে, যাহার ভারতীয় খ্যাতিলোপ হওয়ায়, প্রকৃত উহা কোন দেশজাত তাহা তথাকার লোকে বলিতে পারিত না । ভারতীয়েরা সৰ্ব্বদা নিজের দ্রব্য নিজ হস্তে বিক্রয় করিলে, এরূপ ঘটবার কথা নহে। এতদ্বারা এই বোধ হয় যে, গৃহমুখ ও জন্মভূমিভক্ত ভারতীয়ের বিদেশে যাইতেন বটে, কিন্তু তত বেশী পরিমাণে যাইতেন না, যতটা বিদেশীয়গণ ভারতে আসিয়া আমদানী ও রপ্তানী উভয়ই চালাইত। ফলতঃ প্রাচীনকালীয় স্থলবাণিজ্যের আলোচনায় প্রায়ই দেখিতে পাওয়া যায় যে, দুরব্যবধানস্থিত দুই দেশের উৎপন্ন দ্রব্য পরস্পরের মধ্যে বিনিময় হইতেছে বটে, অথ9 উভয় দেশের লোক সাক্ষাৎ সম্বন্ধে পরস্পরের মধ্যে বাণিজ্য করে না এবং হয় ত কেহ কাহাকে চিনেও না । এরূপ স্থলে ইহাই অনুমিত হয় যে, ব্যবধানের মধ্যস্থিত জাতিসমূহের দ্বারা হস্ত হইতে হস্তান্তরে ব্যবসায়দ্রব্য নীত হইয়া দেশ-বিদেশে বিকীর্ণ হইত। অতি প্রাচীন কালে হিব্রু বা গ্রীকভূমিতে যদিও নানাবিধ ভারতীয় দ্রব্যের ব্যবহার দেখা যাইতেছে বটে, কিন্তু ভারতীয় লোকের তথায় বড় একটা দেখা নাই ; ঐরাপ ভারতেও আবার ঐ ঐ জাতির নাম কেহ শুনিয়াছে, কেহব শুনে নাই । ভারতের প্রতিবেশী পহলব বা পারসিকগণ সৰ্ব্বদাই ভারতে গমনাগমন করিত এবং ভারতের অভ্যন্তরস্থ অনেক দূরদেশে পর্যন্ত যাইত। উড়িষ্যার ঐতিহাসিক গ্রন্থাদিতে দৃষ্ট হয় যে, ৫৩৮ খৃঃ পূঃ যখন বজ্রদেব উড়িষ্যার সিংহাসনে অধিরোহণ করেন, তখন পারস্তবাসী স্নেচ্ছের উড়িষ্যা পর্যন্ত গমনাগমন করিতে আরম্ভ করিয়াছিল। প্রোক্ত পরোক্ষস্থলবাণিজ্য সম্বন্ধে আমার বোধ হয়, সেই