পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম প্রস্তাব । ፀፃ© কাৰ্য্য ; কারণ দেখা যায় যে, রামায়ণে রামের কোষ্ঠীতে রাহুকেতু একেবারে পরিত্যক্ত। বিষ্ণুধর্শ্বোত্তরেও রাহুকেতুকে স্পষ্টতঃ গ্ৰহমধ্যে গণনা করে নাই ; কিন্তু এ দিকে আবার স্ত্রীকৃষ্ণের জন্মকোষ্ঠীতে । রাহুকেতুকে গ্ৰহমধ্যে ধরিতে দেখা যায়। সে যাহা হউক, ফলিত জ্যোতিষের প্রাচীন কোন সংহিতা কিন্তু পাওয়া যায় না। যদিও বশিষ্ঠসংহিতা, পরাশরসংহিতা, ভৃগুসংহিতা, জৈমিনীস্বত্র ইত্যাদি অনেক প্রাচীন নামবিশিষ্ট সংহিতা পাওয়া যায় বটে ; কিন্তু সে গুলি দেখিবামাত্রই সহজে বোধ হয় যে, তাহারা বস্তুতঃ অতি আধুনিক গ্রন্থ। বর্তমানে যে সকল প্রামাণিক ফলিত জ্যোতিষের গ্রন্থ আছে, তাহার মধ্যে ( উক্ত সংহিতাগুলিকে গণনাবহিভূত করিলে ) সৰ্ব্বপেক্ষা প্রাচীন গ্রন্থ যাহা, তাহা বরাহমিহির কৃত। অবশিষ্ট গ্রন্থগুলির অধিকাংশই বরাহমিহিরের সময় হইতে ১৪•• শকের মধ্যে প্রাহভূত দৈবজ্ঞগণের দ্বারা বিরচিত। আলেকজাণ্ডারের ভারতাগমন হইতে, গ্ৰীক এবং মিসরীয় ফলিত , জ্যোতিষের অনেকানেক বিষয় ভারতীয় ফলিত জ্যোতিষে প্রবিষ্ট হইয়াছে। যেরূপ মুসলমান জ্যোতিষ অবলম্বনে নীলকণ্ঠকৃত সংস্কৃত তাজিক গ্রন্থ ; সেইরূপ গ্ৰীক জ্যোতিষ হইতে যাহা সংগৃহীত, তাহ যবনসিদ্ধান্ত নামে বিখ্যাত হইয়াছে। তদ্ভিন্ন আমাদের ফলিত গ্রন্থের নিজোক্তিতেই জানিতে পারা যায় ষে, যবন এবং ময় ও মণিখ নামক স্লেচ্ছ পণ্ডিত হইতে অনেক তত্ত্ব সংগৃহীত হইয়াছে। গ্ৰীক ফলিত জ্যোতিষ হইতে অনেক শব্দ পর্য্যন্তও ভারতীয় ফলিত জ্যোতিষে প্রবেশ লাভ করিয়াছে। যথা:–হেলী, ক্লাবুরী, লেয়, কেন্দ্র, দ্রেকাণ, আপেক্লিম ; পণফর, আকোকের ইত্যাদি। হিন্দু জ্যোতিষে গ্রহচক্রের দ্বাদশ গৃহে ষে যে বিষয়ের ফলাফল নির্দেশ করা হইয়া থাকে, গ্রী ক