পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম প্রস্তাৱ । 8vపి , ভীষণতর 1 জন্মেজয়ের যজ্ঞে ইন্দ্র-সিংহাসনের আশ্রয়ে নাগরাজ তক্ষক পরিত্রাণ পাইয়াছিল, কিন্তু এ দারুণ যজ্ঞে সে পরিত্রাণেরও আশা নাই। বীরবর্গের উৎসাহবায়ুতে সমর-ইন্ধনে এ দারুণ অগ্নি নিরস্তর দপ দপ করিয়া জলিতেছে । হান্ত, বীভৎস, অদ্ভুত, শান্তি, যে কোন রস সে অগ্নি সাম্য করিতে ঢালিয়া দিতেছে ; তাঁহাতে কোথায় সাম্য ? অগ্নি ক্ষণেক মান হইতেছে যেমন, পরক্ষণেই পুনঃ রৌদ্র হইতে রৌদ্রতর ভাবে প্ৰজলিত শিখায়, আকাশতল দহন করিয়া ছুটিয়া ছুটয় উঠতেছে। এক রুদ্রমূৰ্ত্তি সংহারশূল হস্তে দণ্ডায়মান ; যে কোন মূৰ্ত্তি নিকটে আসিতেছে, তাহাই সে রুদ্রতেজে মিশিয়া রুদ্ৰশূলের কলেবর বৃদ্ধি করিতেছে। ইলিয়দের রসমাধুর্ঘ্য সৰ্ব্বত্র পূর্ণাবয়ব। কিন্তু এ প্রবল রৌদ্ররসের মধ্যে অপরাপর রসের সমাবেশ, ঠিক সুষমা-কুসুম কোমলা কামিনীগণ দুরন্ত শামুক্ত গুহায় নিক্ষিপ্তবৎ । রাবণকে সংহারার্থে মৃত্যুশর সঞ্চালনকালীন, সেই শরকে অব্যর্থ করিবার জন্ত, তাহার পর্বে পর্বে দেবতাবর্গের । অধিষ্ঠান সাধন করা হইয়াছিল ; ইলিয়দের দেববর্গ ও দেবশক্তির অবতারণাও তদ্রুপ । এই ইলিয়দ শিওরে করিয়া গ্ৰীকসস্তান জগজ্জেত হইয়াছিল।—এই রামায়ণ শিওরে করিয়া ভারতসন্তান রামায়েৎ সন্ন্যাসী হইয়া ফিরিতেছে ! | যে কল্পনাশক্তি রামায়ণে নিরস্তর লৌকিককে অলৌকিকত্বে পরিণত করিতে পর্য্যবসিত হইয়াছে, সেই কল্পনাশক্তিই ইলিয়দে সৰ্ব্বদা অলৌকিককে লৌকিকত্বে আনিবার চেষ্টা পাইয়াছে। যদি শেষোক্তের সে চেষ্টায় কোথাও ক্রটি দেখা যায়, তাহা কল্পনা বা কবির দোষ নহে ; লৌকিকেরষ্ঠায় অলৌকিক সৰ্ব্বদাই আয়ত্তসাধ্য নহে, সেই জন্ত । রামায়ণে লোকের রুচি অরুচির প্রতি বড় একটা ' に)>