পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 సెశి গ্রীক ও হিন্দু। তাহা হয়ও না। শিষ্য অবশ্য গুরুর নিকট আবদ্ধ হয় বটে, কিন্তু সে । ওরূপ আবদ্ধ নহে ; গুরুকৃতপাশে নহে, গুরু কর্তৃক পরিচালিত হইবার জন্যও নহে ; গুরুতে যে জ্ঞানালোকটুকু আছে তাঁহাই মাত্র লাভ করিবার জন্ত। যতদূর দেখিয়াছি, তাহাতে এ বিশ্বে কেবল একটিমাত্র সূত্র আছে যাহাঁতে সকলেই, ইচ্ছায় অনিচ্ছায়, সৰ্ব্ব . প্রকারে আবদ্ধ হয় এবং সাৰিক প্রকৃতির লোক হইলে আবার ভক্তিব্যাকুলতায় আবদ্ধ হয় ; সে স্বত্র তাহ, যাহাতে সকলেরই ৷ উৎপত্তি। কিন্তু এ স্বত্র যেমন একদিকে একতায় সম্বদ্ধ করে, তেমনি অন্ত দিকে কিছুমাত্র বহুত্বের বিলোপ করে না । তোমার মনুষ্যকৃত স্থত্রের ধৰ্ম্ম তাহা নহে ; একা-প্রকৃতি হইতে উৎপত্তি হেতু একমুখী একতাই উহার সম্বল, অতএব কেন বা কেমন করিয়া উহাতে বহুত্বপূর্ণ লোকনীতি আবদ্ধ হইবে ? হয়ও নাই কখন। সুতরাং আমরাও এখানে, যে লোকনীতি-স্বত্র কেবল বচনে মাত্র স্থিত, কার্য্যে কখনও আনীত হয় নাই, তাহ লইয়া আর বাক্বিতণ্ডায় অধিক সময় অপব্যয় করিব না। যাহাঁ লোকপ্রকৃতি অনুরূপ স্বতঃ হইতেছে ও হইবে, এ এক নীতি ; আর যাহা তর্কফলে এরূপ হইলে ভাল হয়, সে এক নীতি ; এ দুয়েতে অনেক প্রভেদ। প্রথমোক্ত নীতিই স্বাভাবিক, যেহেতু তাঁহা স্বতঃ প্রকৃতি উৎপন্ন বিষয়ের সততা, স্বচ্ছন্দতা ও পরিচ্ছন্নতা সংসাধন করিয়াই ক্ষান্ত হয় ; তদতিরিক্তে যায় না । দ্বিতীয়তঃ, আর কতকগুলি ক্ষুদ্রতর খ্যাতনামা আছে, যাহাঁদের বিশ্বাস—“তোমার উপর যেরূপ কৃত হইতে অভিলাষ কর, অষ্ঠের প্রতি সেইরূপ আচরণ করিও”–এই নীতিই লোকনীতির মূল এবং , উহার উপর নির্ভর করিয়াই সাধারণ লোকযাত্রাবিধান গঠিত হইস্বাছে। এ নীতিতে, অঙ্কশাস্ত্রের আর সমস্ত ফেলিয়া দিয়া, কেবল এক