পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ প্রস্তাব । 8వె\ర 4 জমা খরচের বিপুল প্রয়োজন দৃষ্ট হয় —যেমন দেবে তেমনি পাৰে, যেমন পাবে তেমনি দেবে। কিন্তু ইহা হইলে, এ জগতে আর নিঃস্বার্থ মহবের অস্তিত্ব এবং আবস্তকতা থাকে না ; কারণ মহবের এখানে অবলম্বন-স্থল কোথায় ?—অবলম্বন ব্যতীত কোন পদার্থ এ স্থল জগতে, তিষ্ঠিতে পারে না। আত্মমুখ ও স্বার্থ যখন জীবনের উদ্দেশু, তখন কেন আমি পরের জন্য প্রতিদানের অতিরিক্ত খাটয় মরি ? হয় ত এরূপ স্থলে বলিবে, মহত্বের দরকার নাই! তাহা যেন হইল, কিন্তু তথাচ আমরা দেখিতেছি, মহত্ত্বের কৃপা ও করুণ; ব্যতীত এ জগৎ ত,একদিনও চলে না । সুতরাং কাজেই বলিতে হইবে যে, কথিত লোকনীতির মূল অলীক এবং অকিঞ্চিৎকর ;. অতএব উহা লইয়া সময় অপব্যয় করিবার আবশ্যকতা নাই । আমরা দেখিতে পাইতেছি যে, লোক যে যেমন অবস্থায়. পতিত, তাহার লোকযাত্রাবিধানও সেইরূপ । যে কথা লোকবিশেষে প্রযুক্ত, জাতিবিশেষ এবং সমগ্র মানবজাতির পক্ষেও সেই কথা প্রযুক্ত হইতে পারে। যে যেমন কৰ্ম্মক্ষেত্রে পতিত হইয়াছে, তাহার লোকযাত্রাবিধান ও লোকনীতিও সেই কৰ্ম্মক্ষেত্রের উপযোগী হওয়ার জন্য, সেইরূপ আকার ধারণ করিয়াছে। সুতরাং যে জাতি যেরূপ, তাহার নীতিমার্গ তদনুসারী এবং তাহার কৰ্ম্মপ্রবাহও সেইরূপ আকার ধারণ করিয়া থাকে। সমগ্র মানব এক-প্রকৃতি, তাহার উপর আবার বিভিন্ন জাতি বিভিন্ন প্রকৃতি ; আবার জাতির মধ্যেও বিভিন্ন সমাজ ও বিভিন্ন মানব ভেদে আরও বিভিন্ন বিভিন্ন প্রকৃতি দৃষ্ট হয়। এ বিশ্বপ্রপঞ্চের এক মুখে একত্ব, আর মুখে বহুত্ব ; উহ। তাঁহারই পরিচায়ক ও অভিনয় মাত্র। ঐশ্বরিক একই কার্যবিশেষ এবং তাহার পুনঃ