পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6; 6 9 शौक S হিন্দু ; সে যাহা হউক, এই পরোক্ষ স্বার্থমূলক নিয়োজনে অনুষ্ঠান ও যত্ব এতদুভয়ে আন্তরিকতার অভাব না হইলেণ্ড, মূলস্থানে সাত্ত্বিকতার পরিবর্তে রাজসিক বুদ্ধির প্রাবল্য হেতু, কৰ্ম্মধারণা যতই বিস্তৃত ও বিপুল হউক না কেন, তাহ সৰ্ব্বাঙ্গসম্পন্ন ও সামঞ্জস্যক্ষম হইতে পারে না । রামসিকতার বাহ চাকচিক্যে যদিও তাহ আপাততঃ সম্পূর্ণ ও পরিণামদৰ্শিত্বপূর্ণের ন্যায় প্রতীয়মান হয় বটে, কিন্তু বস্তুতঃ তাহ অসম্পূর্ণ ও অপরিণামদশিত্বে পরিপূর্ণ। সুতরাং এরূপ কৰ্ম্মধারণা, ফলেও সৰ্ব্বদা সুফল প্রসব করে না ; প্রত্যুত অধিক বাড়াবাড়িতে, সমাজ উচ্ছঙ্খলতা প্রাপ্ত হইয়া থাকে। যাহা হউক, তথাপি এ মূলোৎপন্ন নীতি ও কাৰ্য্য একেবারে বিফলে যায় না। এ নীতিমূল প্রথমোক্ত নীতিমূলের নিম্নপর্ষ্যায়ে। বেশী বাড়াবাড়ি না করিলে, এ মূল ধরিয়াও একরূপ মন চলে না। কিন্তু অপরোক্ষ স্বার্থ অতি ভয়ানক পদার্থ। প্রথমোক্ত মূলের লক্ষণ, সাত্ত্বিকতা, ঈশ্বরপ্রতি ও দিব্য স্বাৰ্থ বা চলিত কথায় নিঃস্বার্থ ভাব ; দ্বিতীয়োক্ত মূলের প্রথম বিভাগ অর্থাং পরোক্ষ স্বার্থমূলকতার লক্ষণ, রাজসিকতা, সমাজপ্রীতি ও উচ্চ সাংসারিক স্বার্থ ; আর দ্বিতীয় বিভাগ অর্থাৎ অপরোক্ষ স্বার্থমূলকতার লক্ষণ, তামসিকতা, পাচজনপ্রীতি ও নীচ সাংসারিক স্বাৰ্থ বা চলিত কথায় যাহাকে আত্মম্ভরিতা বলা যায়। এই তুলনা দ্বারা এখন বুঝিতে পারবে যে, অপরোক্ষ স্বার্থমূলক নীতি কিরূপ নীচ, কেমন ভয়ানক ও কতটা দুষ্টপথাবলম্বী হইবার কথা। অপরোক্ষ স্বার্থমূলকতা অনুসারে আত্মস্বার্থই সৰ্ব্বস্ব, সামাজিক বা আর যে কোন স্বার্থ তাহার নিকট তুচ্ছামৃতুচ্ছের মধ্যে গণ্য হয়। এতদনুসারে মানুষ আত্মাতীতে দৃষ্টিশূন্ত এজন্য অন্তের হানি করিয়া, অন্তের লুটপাট করিয়া যদি