পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

«os औक ७ श्लूि। অভাবে মানৰ অন্ধ ; অন্ধ প্রায়ই খান ডোবায় পড়িয়া প্রাণ शंब्राहेबो थॉटक । 圖 আরও দেখ, এ সংসারে মানুষের প্রতি মানুষের যত কিছু ক্রুরাচরণ এবং সমাজমধ্যে যে কিছু সামাজিক অবনতি ও অধঃপতন, তাহাও এই তৃতীয়মূলক নীতি হইতে সংঘটিত হয়। ইহার প্রভাবে মামুষের শক্ৰ মানুষ এবং মানুষ পুনঃ মানুষের যেরূপ ভয়ঙ্কর ও নিষ্ঠুর শক্ৰ হইতে পারে, সর্পব্যাঘ্ৰাদি হিংস্র পশুর শক্রতা তাহার সঙ্গে তুলনাতেই আইসে না । পশ্বাদি শক্রত করে প্রাকৃতিক বুদ্ধিবশে, স্বতরাং একই প্রকার ও প্রকরণে ; কিন্তু মানুষে নিজবুদ্ধি ও উদ্ভাবনী শক্তির অস্তিত্ব হতু, মানুষ শক্র হইতে মানুষ যে ক্লেশ ও যন্ত্রণা পায়, তাহা নানা প্রকার ও অদ্ভুত, অসহনীয় ও অতুলনীয়। প্রাচীন ভারতের শূল ; মুসলমানের জীবিতের ত্বগুন্মোচন, জীবস্তে কবর দেওন, কুকুর দিয়া খাওয়ান ; রোমকমণ্ডলে ক্ষুধিত সিংহব্যাভ্রাদির মুখে নিক্ষেপণ ; মধ্যকালিক ইউরোপে দুরভূগর্ভনিহিত গুহায় সুড়ঙ্গযোগে নিক্ষেপণ, খৃষ্টীয় অগ্নিকুণ্ড ও নানাবিধ যন্ত্রণার প্রকরণ, খৃষ্টীয় প্রধান ধৰ্ম্মযাজক পোপকর্তৃক ডিউক উগোলিনো প্রভৃতির হত্যাপ্রকরণ এবং ইউরোপীয়গণ কর্তৃক আদিম আমেরিকগণের পশুবৎ শিকার ও নানাবিধ নির্যাতন ;—এ সকল কি রোমহর্ষণকর ব্যাপার । স্মরণে শরীর শিহরিয়া উঠে এবং ভোগীর যন্ত্রণাভোগ ভাবিতে গেলে খেদ, আতঙ্ক ও হতাশে হৃদয় ফাটিয়া যায়। অধুনাতন ফাসির প্রথা এবং ফাসির প্রত্যাশায় অপরাধীর কালযাপনের কথাটাই বা বারেক ধারণ করিতে চেষ্টা করিয়া দেখ না কেন ? (২) ভাবিতে ও ধারণা -- ২ । এরূপ শাস্তির কার্য্যকারিত আলোচনায় দেখিতে পাওয়া যায় যে, গোস্তির নিত্য সম্ভবতা সত্বেও, প্রতিবৎসরের অপরাধ ও শান্তিসংখ্যা আ