( etyo éौक YS হিন্দু। ইহাই অপরোক্ষ স্বার্থের চূড়ান্ত পরিণাম। কখনও কখনও বা বহিঃস্থ রাজশক্তি বা অনুরূপ শক্তিবিশেষের সহায়তা অথবা অপরবিধ নীতিপ্রভৃতির সময়কালে মধ্যবৰ্ত্তিতা হেতু, প্রবল বাত্যা ও পাপ উভয়েরই অপেক্ষাকৃত ধীর ভাবে শাস্তি ও সমতা হইতে দেখা যায় ; কিন্তু সকলের ভাগ্যেই যে সে সুযোগ ঘটবে, তাহার সম্ভবত কোথায় ? এক্ষণে কথিত ত্ৰিবিধ মূলোৎপন্ন নীতিগুলির প্রয়োগপক্ষে উদাহরণের একটু আলোচনা করা যাউক । তৃতীয় মূলোৎপন্ন নীতির জাজ্জাল্যমান উদাহরণ, অধুনাতন ভারতীয় সমাজ। লোকসকল নীচ, স্বার্থপর, জ্যেষ্ঠ, বিশ্বাসবিহীন, এবং শক্রতায় একগৃহস্থলীস্থিত এক অপরের নামে এমন কি ফৌজদারী পৰ্য্যন্ত করিতে কিছুমাত্র পশ্চাৎপদ হয় না। জাতীয় সহানুভূতির কথা না বলাই ভাল । অনেকের বিশ্বাস, ইংরাজেরা আমাদের উপর বেশী অত্যাচার করে। আইনকামুনে বাধা কোন অত্যাচার থাকিলে, সে স্বতন্ত্র কথা ; তদ্ভিন্ন অন্তান্ত অত্যাচার সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করি ; যে, ইংরেজ মুষ্টিমেয়, আর তুমি সংখ্যায় মনস্ত বলিলেই হয়। মুষ্টিমেয়ের কার্য্য সাক্ষাৎ সম্বন্ধে কি অনন্ত আয়তনে ব্যাপনশীল হইতে পারে ? এক নীলকরের এলাকায় একটি ইংরেজ, এক জেলাপুলিশের মাথায় একজন ইংরেজ, এক জেলার ভিতর একজন ইংরেজ ম্যাজিষ্ট্রট, ইত্যাদি। এখন এই এক এক জন ইংরেজ কতই অত্যাচারের মতলব অtটয়া কতই তাহা কার্য্যে খাটাইতে পারে, যাহাতে দেশের ছোট বড় নির্বিশেষে অসংখ্যসংখ্যক সকলেই সৰ্ব্বপ্রকারে জালাতন হয় ? ইহা অসম্ভব। তুলনা করিয়া দেখিলে, ইংরেজ নিজে অত্যাচার করে না তত, অত্যাচার ইংরেজের আশ্রয়ে হইয়া থাকে যত । নীলকরের এলাকায়, প্রকৃতপক্ষে তুলনা করিলে, নীলকর নিজে অত্যাচার তত্ত
