পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ প্রস্তাব । ❖ »ዊ তবে আপনার অবয়ব দেখিতে পায় না ? দেখিতে পাইলে কি না করিতে পারিত ! অতঃপর হিন্দু এবং গ্রীকের সাংসারিক কাৰ্য্য ও -নীতি বিশ্লেষণ করিলে এরূপ রূপক রচনা করিতে পারা যায়। একজন মুক্তারাশি উপার্জন করিয়াছে মালা গাথিবীর খাতিরে এবং মালা গাথিয়াছে ; আর সেই উপার্জন আর একজন করিয়াছে কেবল সেই মুক্তারই খাতিরে, সুতরাং উপার্জনাস্তে তাহা পরিত্যক্তবৎ পতিত রহিয়াছে! কে না বলিবে যে যকৃচ্ছবিক্ষিপ্ত মুক্তারাশি হইতে মুক্তার মালা অধিক শোভাকর । গ্রীকের লোকহিত সেই ৷ মূক্তমালায় দাড়াইয়াছে ; আর হিন্দুর তদ্রুপ শত শত মালার উপযুক্ত মুক্তারাশি, এমন কি অপেক্ষকৃত শত শত গুণে বহুমূল্য মুক্তারাশি, স্তুপীকৃত পড়িয়া রহিয়াছে এবং ষেমন সুযোগ পাইতেছে, তেমনি এক একটি করিয়া ইন্দুর ছুচোতে হরণ করিয়া লইয় যাইতেছে। কি পরিতাপ ! ভারতসন্তান, দেখ দেখি তোমারই মুক্ত দাতে ধরিয়া, ছুচোর ছুচোমী ও আস্ফালন, কি অসহনীয় হইয়া উঠিয়াছে! আর তুমি ? হেলায় তোমার রত্বরাশি হারাইয়া, মাথায় হাত দিয়া পথে বসিয়া কাদিতেছ ! হিন্দুসন্তান জানিতেন যে, ব্যক্তি হউক বা জাতি হউক, উভয় নির্বিশেষে, মানবের যে সাংসারিক জীবন, তাহ যখন এত ক্ষণস্থায়ী ; তখন তাহার আবার মূল্যই বা কি ; আর তাহার জন্ত হিসাব রাখারাধিই বা কি ? কৰ্ম্মক্ষেত্রে আসিয়াছি কৰ্ম্ম করিতে, কৰ্ম্ম করিতেছি ;—ইহা বিদেশ ও বাসাবাড়ী। কৰ্ম্ম শেষ হইলেই যখন বাড়ী যাইতে হইবে, নিত্যবাস যখন অন্যত্র ; তখন বাসাবাড়ীকে বলাখানা ও বিদেশীয়কে প্রাণের কুটুম্ব কে করিয়া থাকে, অথবা, তাহার জন্ত পাগলই বা হয় কে ?—করিতে পারে