পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

de R গ্রীক ও হিন্দু। দাস বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন, সুতরাং সকল বর্ণের পরিচর্য্যা করাই শূদ্রের কৰ্ত্তব্য, তাহদের শুশ্রুষা করিলেই শূদ্র স্বমহৎ মুখ প্রাপ্ত হয়। শূদ্র পধ্যায়ক্রমে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় এবং বৈশু এই বর্ণপ্রয়ের পরিচর্য্যাতেই নিযুক্ত থাকিবে, কিন্তু কখনই ধনসঞ্চয় করিবে না, কারণ তাহারী। ধনবান হইলে আপন অপেক্ষ শ্রেষ্ঠগণকে বশীভূত করিতে ও অকাৰ্য্য সকল করিতে প্রবৃত্ত হইবে ; কিন্তু নৃপতির আদেশ অনুসারে লোভপরংশ না হইয়া ধৰ্ম্মপ্রধান কাৰ্য্যসকল করিবার নিমিত্ত সামান্ত ধনসঞ্চয় করিতে পরিবে। শূদ্র যে বৃত্তি অবলম্বন করিবে এবং যে উপায় অবলম্বন করিয়া জীবিকা নিৰ্ব্বাহ করিবে, তাহও বলিতেছি। শূদ্র, ব্রাহ্মণ আদি বর্ণক্রয়ের অবশুভরণীয় ; উশরী-বেষ্টন, জীর্ণ ছত্র, উপানৎ এবং ব্যজন সকল পরিচারক শূদ্রকে প্রদান করিবে। অপরিধেয়, বিশীর্ণ বসনসকল শূদ্রকে প্রদান করা কর্তব্য, কারণ তাহা তাঁহাদেরই ধৰ্ম্মধন । ধাৰ্ম্মিক মনুষ্যগণ বলিয়া থাকেন যে, শূদ্র শুশ্রযু হইয়া দ্বিজাতিগণের মধ্যে কাহারও নিকট গমন করিলে তিনি তাহার উপযুক্ত বৃত্তিকল্পনা করিয়া দিবেন। প্রতিপালক দ্বিজাতি অপত্যবিহীন হইলে শূদ্র তাহাকে পিও প্রদান করিবে এবং বৃদ্ধ অথবা দুৰ্ব্বল হইলে তাহার ভরণাদিও করিবে। অধিকন্তু যে কোন বিপদ উপস্থিত হউক না কেন, কোন অবস্থাতেই ভৰ্ত্তাকে পরিত্যাগ করা শূদ্রের কৰ্ত্তব্য নহে। প্রভুর দীনদশা উপস্থিত হইলে স্বীয় কুটুম্বগণ অপেক্ষা অধিকতররূপে তাহার ভরণাদি করা শূত্রের কৰ্ত্তব্য ; কারণ শূদ্রের ষে কিছু ধনাদি থাকে, তৎসমস্তই প্রভুর, র্তাহাতে তাহার কোন স্বত্ব নাই।”—বৰ্দ্ধমানের রাজখরচে অনুবাদিত মহাভারত হইতে উদ্ধত । শূদ্রের প্রতি আৰ্য্যদিগের এরূপ আচরণ, আৰ্য্যদিগের চিরঅনপনেয় কলঙ্ক। ভারতের আদিম অধিবাসী শূদ্রদিগকে এখনও