পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ প্রস্তাব। ot "ছে কীর্ণ তোমার বন্ধু বা পরিচিতবর্গের মধ্যে বাহকে যেরূপ - প্রকৃতির দেখিবে, তোমার আত্মস্বভাবকেও সেইরূপ স্বভাবের দেখাইয়া, তোমার সহিত যাহাতে তাহদের সহানুভূতি হয়, সেইরূপ করিবে। "সামুদ্রিক পলিপের যেরূপ ধৰ্ম্ম—আশ্রয়ের নিমিত্ত উদ্দিষ্ট শৈলকে বহু দিকে বিক্ষিপ্ত বহু হন্তের দ্বারা এরূপ আকর্ষণ করিয়া তাহাতে সংলগ্ন হয় যে, আর তাহার পৃথকত্ব অনুভূত হয় না ; তুমিও সেইরূপ হইও। যখন যেমন দেখিবে, তখন সেইরূপে ভাব পরিবর্তন করিবে। "হে কীর্ণে, প্রত্যাগত নিৰ্ব্বাসিত প্রভৃতির এখনও আশা আছে, ইহা ভাবিয়া যেন কখনও তাহাদিগের প্রতি সকরুণভাবে ব্যবহার করিও না ; কারণ, প্রভাগত হইলেও, সে যেরূপ ব্যক্তি তাহার কিছুমাত্র পরিবর্তন হয় নাই।”—থিওগণিস। এক্ষণে সমানার্থবোধক হিন্দুর নীতি দেখা যাউক — “দানশূন্তকে দানের দ্বারা, অসত্যবাদীকে সত্যের দ্বার, ক্রোধান্ধকে ক্ষমার দ্বারা, এবং অসংকে সততা দ্বারা, এইরূপে যে যে ব্যক্তি দুষ্ট, তাহার দোষরাশিকে পরাজয় করিবে । । - *শ্রেষ্ট এবং সৎ র্যাহার, তাহদের নীতি এরূপ। ইহার বাক্য মন ও কার্য্যে কাহার অনিষ্টে রত হয়েন না। এবং সৰ্ব্বভূতেই ইহাদের দয়া দক্ষিণ প্রচুর। ইহার আস্বস্বার্থের প্রতি লক্ষ্যশূন্ত, অপরের শুভতেই আনন্দিত হই থাকেন। ইহারা যাহার প্রতি যে দয়া ও যাহার যে উপকার করিয়া থাকেন, তাহার জন্য কিছু মাত্র প্রতিদানের প্রত্যাশা রাখেন না। o “যদি সমস্ত সংসার তোমার বিপরীতচরণ করে, তথাপি যথার্থ পথ হইতে কখনও খলিভপদ হইও না ।”—মহাভাৱত বনপৰ্ব্ব।