পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ প্রস্তাৰ । gbƏ চক্ষে কোথাও পড়ে নাই। যে সতীত্ববুদ্ধি গ্রীকমণ্ডলে ছিল, অল্প ইতরবিশেষে পাশ্চাত্যভূমিতে আজিও প্রায় সেই বুদ্ধি বিরাজ করিতেছে। তথাপি জাক কত ! তবে কি না, স্ববিষয়ে জাকই এ ংসারের দারুণ বোধাভাবস্থলেও প্রবোধ ও শাস্তিদায়িনী । । স্ত্রী-স্বাধীনতাও গ্রীসে অপরিমিত ছিল (২১) । স্ত্রীপুরুষে সম্মিলিতবাস্থ কুস্তিকুন্দন পর্য্যন্ত করিত ; আবার পর্বাহস্থলে, স্বাধীনতা ছাড়াইয়া, স্বাধীন প্রেমাদিরও ঢলাঢলি পক্ষে ক্রাট হইত না। ভারতে তাহ ছিল না ; অল্প ইত্তরবিশেষে, ভারতললনা চিরকালই গৃহমধ্যে আবদ্ধ ও “অস্বৰ্য্যম্পশুরূপী" ; তবে স্থানবিশেষে এৰং ধৰ্ম্মকৰ্ম্মকালে, পতি পুত্র বা তদ্রুপ আত্মীয়াদির সহযোগে কখন কখন বাহির হইতেন। মুখাবরণের ঘটা সে সময়ে তা ছিল না, সুতরাং স্ত্রীলোকে কিছু দেখিতে পায় না বলিয়া দ্বীস্বাধীনতার স্বপক্ষে এখন যাহা কারণ স্বরূপ দর্শিত হইয়া থাকে, সে কারণের অস্তিত্ব তখন বড় একটা ছিল না । গুরু, ঋষি, আত্মীয়বর্গ, ইহাদের সহিত স্বচ্ছন্দে কথা কহিবার অধিকার ছিল । ইহার অতিরিক্ত অ্যর কোন স্বাধীনতা ছিল না। ২১ । হোমায়িক সময়ের शी-वादीनडा সম্বন্ধে ইতিহাসজ্ঞ গ্রোট লিপিতেছে “She even seems to live less secluded and to enjoy a wider sphere of action than was allotted to her in historical Greece."—Grotes, II, ইংরাজচিত্ত চিত্রিত বলিয়াই, ঐতিহাসিক কাজের গ্ৰীক স্ত্রী-স্বাধীনতাও আপেক্ষিক স্বাধীনতা বলিয়া অবধারিত ও বর্ণিত হইয়াছে। নতুবা সে স্ত্রীস্বাধীনতা ফলতঃ কতদূর প্রশস্ত ছিল, তাহা ঐ পুস্তকের ৫১৬ হইতে e২৩ পৃষ্ঠা পৰ্য্যস্ত দৃষ্ট্রে বিবেচ্য। উদ্ধত অংশে “secluded” শব্দ দৃষ্টে যেন বিবেচিত্ত না হয় যে, ঐতিহাসিক সময়ে গ্রীসে জেনানা ঘোমটা বা অবরোধ প্রথা প্রচলিত ছিল । তাহী নহে। স্ত্রীগণ স্বচ্ছদে বাহির হইত, প্রায় সকল বিষয়ে হস্তক্ষেপ করিতে পাইত, পৰ্ব্বাহে মাতামাতিও প্রায় সমান ছিল এবং তদুৎপন্ন কুক্ৰিয়াশক্তিরও নু্যনতা ছিল না ; অতএব ঐ "secluded" শব্দ পূর্বাবস্থায় তুলনে, আপেক্ষিক অর্থবোধক মাত্র।