পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Փ9Ե- গ্রাক ও হিন্দু । হইতেছে, নতুবা ইহা নিত্য নিয়মে নিয়মিত ও স্থিরীকৃত হইয়t রহিয়াছে। আমেরিক ও ইউরোপ ভূমির অনেক ললনা, কখন কখনও বা ভারতললনাস্থলীয় এবং বুদ্ধি, বাহু ও ব্যবহারে ললনাবৃত্তি দুই একটি অনুকরণকারী অতিগামী পুরুষ, বলিয়া থাকে যে, পুরুষ এবং স্ত্রী ইহাদের মধ্যে শক্তির প্রভেদ কোথায় এবং কেনইবা স্ত্রী, সমাজমধ্যে পুরুষের সহ সমানাধিকারযুক্ত এবং সমানরূপ ক্ষমতাভূষায় ভূষিত ও ক্ষমতাগৌরবে গণনিত ও মাননিত না হইবে ? বাঞ্ছারাম, আরও কি অবিশ্বাস আছে যে, কলিযুগে তাবৎ বিষয় উন্ট হইয়া দাড়াইবে ? ভাল, পশুস্থষ্টিতেও ত পুরুষ-স্ত্রী-ভেদ আছে, সেখানেত প্রাকৃতিক শাসন এবং সে শাসনে স্তায্য ভিন্ন অন্তায্য কখনও হয় না । সেখানে কি দেখ,—তাহ দেখিয়াও কি জ্ঞান জন্মে না ? অথবা হয় ত বলিবে, বাঘ শিকার করে, বাঘিনীও শিকার করে, আনাচ কানাচ খোয়াড় খোলা প্রভৃতিতে বাঘ বাঘিনীর ত সমনই অধিকার ; তবে আর তায় । প্রভেদ কোথা ?—হারি মানিলাম ! বিধাত রমণীগণকে ক্ষীণশক্তি ও কোমলপ্রকৃতি করিয়া সৃষ্টি করিয়াছেন। কি বাহুচালনে, কি বুদ্ধিচালনে, পুরুষের কোন অংশেই তাহারা সমক্ষকক্ষ নহে । পুরষ চলে বুদ্ধিবশে, কিন্তু স্ত্রীলোক চলে চিত্ত। বা হৃদয়বশে ; সুতরাং ভালয় হউক মন্দয় হউক, পুরুষ এক পা চলিতে দুই পা ভাবে, কিন্তু স্ত্রী একবার চলিতে আরম্ভ করিলে দিগ্বিদিকজ্ঞানশূন্ত হইয়া ছুটিয়া যায় এবং সীমায় না গিয়া ক্ষান্ত হয় না। তাই সতে বা অসতে, স্ত্রী যতটা উচ্চগমন বা অধঃপতনে সমর্থ, পুরুষ ততটা পারে না । পুরুষে বুদ্ধিপ্রাবল্য হেতু, সে পত্তিত হইলে তাহাকে ফিরান যায় ; কিন্তু চিত্তবৃত্তাধিক্যহেতু স্ত্রী একবার পতিত হইলে, আর তাহাকে ফিরান দায়। অতএব যদি আর কিছুর জন্তও না হয়, অন্ততঃ